চিলমারী-হরিপুর সড়ক উন্নয়নে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ধীর গতিতে এগুচ্ছে কাজ
ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার প্রধান সড়ক উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণ কাজের ধীরগতি এবং নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের কারণে স্থানীয় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। চিলমারী-হরিপুর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিজেদের খেয়ালখুশিমতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রকল্পটির কাজ পেয়েছে মীর হাবিবুল আলম নামে এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তবে কাজ শুরুর পর থেকে এটি হাতবদল হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। হাতবদলের কারণে কাজের গতি কমেছে এবং অনিয়ম বেড়েছে। চিলমারী উপজেলার মাটিকাটা মোড় থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ১২০০ মিটার সড়ক উন্নয়নের কাজে বালি ও খোয়ার মিশ্রণে নিয়ম না মেনে বালি ও মাটির পরিমাণ বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে সড়কের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে।
নির্মাণ কাজে বালি ও খোয়ার মিশ্রণে ১০% বালি ও ৯০% খোয়া ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বালি ও মাটির পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া, নির্মাণ কাজ শেষে নিয়ম অনুযায়ী পানি ছিটানোর কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। ফলে ধুলায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের পাশাপাশি গাড়ি চালকরাও ভোগান্তিতে রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা মাটিকাটা মোড় থেকে কলেজ মোড় ও শরীফেরহাট এলাকায় বালি, মাটি ও খোয়ার মিশ্রণ কাজ অনিয়মের মাধ্যমে শেষ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী পানি ছিটানো না হওয়ায় ধুলার সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। এদিকে, কার্পেটিং কাজ এখনো শুরু না হওয়ায় জনদুর্ভোগ আরও তীব্র হচ্ছে।
উপজেলা যুবদলের নেতা জাহাঙ্গির আলম সাদ্দাম বলেন, “মাটিকাটা থেকে কলেজ মোড় পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নের কাজে বালির সাথে পরিমাণমতো খোয়া মিশানোর কথা থাকলেও বালির সাথে মাটির পরিমাণ বেশি মিশিয়ে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। প্রধান সড়কটির কাজে যদি এত অনিয়ম হয়, তাহলে অন্যান্য সড়কের অবস্থা কী হবে?”
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চিলমারী শাখার নেতা আব্দুর রহমান পারভেজ বলেন, “সড়কের কাজে অনিয়ম হয়েছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।”
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক মীর হাবিবুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমার লাইনে হলেও প্রকল্পটি সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের পিএস রাশেদ দেখাশোনা করছেন।” তবে রাশেদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
চিলমারী উপজেলা প্রকৌশলী মো. জুলফিকার আলী বলেন, “আমি সবে মাত্র যোগদান করেছি। অনিয়মের বিষয়টি আমার জানা নেই। মূল ঠিকাদার আত্মগোপনে রয়েছেন বলে শুনেছি। তবে তার প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।”
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার সবাক বলেন, “সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫