|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:৪৯ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:৩৮ অপরাহ্ণ

অবরুদ্ধ শিক্ষকদের উদ্ধারে আসা স্বজনদের ‘বহিরাগত’ বলা হচ্ছে: বাকৃবি কর্তৃপক্ষ


অবরুদ্ধ শিক্ষকদের উদ্ধারে আসা স্বজনদের ‘বহিরাগত’ বলা হচ্ছে: বাকৃবি কর্তৃপক্ষ


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আটকে রাখার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দীর্ঘ আট ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তার স্বজন, বয়োজ্যেষ্ঠ বাবা-মা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসেন। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘বহিরাগত’ বলে প্রচার করা হচ্ছে।
 

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. হেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ৩১ আগস্ট পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’র দাবিকে ঘিরে পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি একাডেমিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ২৫১ জন শিক্ষক আলোচনার পর সর্বসম্মতভাবে ছয়টি সুপারিশ গ্রহণ করেন। কিন্তু সভার সিদ্ধান্তের পরই ‘কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের’ প্ররোচনায় পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
 

এরপর শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে প্রায় ৩০০ শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে তালাবদ্ধ করে রাখে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অবরুদ্ধদের মধ্যে বয়স্ক, হৃদরোগী, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং গর্ভবতী শিক্ষকও ছিলেন। প্রচণ্ড গরম ও অভুক্ত অবস্থায় তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীরা তাতে কর্ণপাত করেনি।
 

বিকেলের দিকে উদ্বিগ্ন স্বজন ও স্থানীয়রা মিলনায়তনের সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে প্রায় আট ঘণ্টা পর গেটের তালা ভেঙে অবরুদ্ধ শিক্ষকরা বাইরে আসতে সক্ষম হন। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষকদের উদ্ধারে এগিয়ে আসা স্বজন বা পরিচিতদের ‘বহিরাগত’ হিসেবে উপস্থাপন করে শিক্ষার্থীদের উসকে দেওয়া হয়েছে। তবে গেট ভাঙার ঘটনায় কারা জড়িত, তা তদন্তের মাধ্যমে বের করা হবে।
 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি ভার্চুয়াল সভায় আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের হাতে ন্যস্ত করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
 

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটিকে ‘গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

অবরুদ্ধ শিক্ষকদের উদ্ধারে আসা স্বজনদের ‘বহিরাগত’ বলা হচ্ছে: বাকৃবি কর্তৃপক্ষ
 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আটকে রাখার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দীর্ঘ আট ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তার স্বজন, বয়োজ্যেষ্ঠ বাবা-মা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসেন। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘বহিরাগত’ বলে প্রচার করা হচ্ছে।
 

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. হেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ৩১ আগস্ট পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’র দাবিকে ঘিরে পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি একাডেমিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ২৫১ জন শিক্ষক আলোচনার পর সর্বসম্মতভাবে ছয়টি সুপারিশ গ্রহণ করেন। কিন্তু সভার সিদ্ধান্তের পরই ‘কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের’ প্ররোচনায় পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
 

এরপর শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে প্রায় ৩০০ শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে তালাবদ্ধ করে রাখে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অবরুদ্ধদের মধ্যে বয়স্ক, হৃদরোগী, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং গর্ভবতী শিক্ষকও ছিলেন। প্রচণ্ড গরম ও অভুক্ত অবস্থায় তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীরা তাতে কর্ণপাত করেনি।
 

বিকেলের দিকে উদ্বিগ্ন স্বজন ও স্থানীয়রা মিলনায়তনের সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে প্রায় আট ঘণ্টা পর গেটের তালা ভেঙে অবরুদ্ধ শিক্ষকরা বাইরে আসতে সক্ষম হন। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষকদের উদ্ধারে এগিয়ে আসা স্বজন বা পরিচিতদের ‘বহিরাগত’ হিসেবে উপস্থাপন করে শিক্ষার্থীদের উসকে দেওয়া হয়েছে। তবে গেট ভাঙার ঘটনায় কারা জড়িত, তা তদন্তের মাধ্যমে বের করা হবে।
 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি ভার্চুয়াল সভায় আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের হাতে ন্যস্ত করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
 

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটিকে ‘গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫