ঢাকা প্রেস
আবুল কালাম আজাদ,কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
০৮-০৮-২৪ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ২নং আকুবপুর ইউনিয়নের মেটাংঘর-হোসনাবাদ-সড়কের হোসনাবাদ গ্রামের জামে মসজিদের সামনে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১০টি সরকারি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহ নির্দেশে হোসনাবাদ গ্রামের সোনা মিয়া ছেলে হিরণ মিয়া, মৃতঃ মনু মিয়ার ছেলে আলী আক্কাস,কালা কাজির ছেলে শাহেদ মিয়া ও আঃ আলিম, শিশু মিয়ার ছেলে জসিম মিয়া মাওঃ সোলেমানসহ আরো অনেক প্রভাবশালীরা গাছগুলো কেটে নিয়েছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন ১নং আকুবপুর ইউনিয়নের মেটাংঘর-হোসনাবাদ সড়কের হোসনাবাদ গ্রামের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার সামনে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহ নির্দেশে স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিজেদের দাবি করে ১০টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বিক্রি করে দেন।
মুরাদনগর উপজেলার হিরাকাশি গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন আনু ২৯ হাজার টাকায় গাছগুলো কেনেন। গত বুধবার সকাল থেকেই কাঠ ব্যাবসায়ী আনোয়ার হোসেন আনু লোকজন গাছ কাটা শুরু করেন। এ ব্যাপারে আকুবপুর সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ বলেন, এটি সরকারি সড়ক, এখানে জনগণের কোনো জমি নেই।
ইউপি চেয়ারম্যানের ইন্ধনে গাছগুলো কাটা হয়েছে। এসব গাছের মূল্য ১ লাখ টাকার বেশি হবে। চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহ বলেন, আমি এব্যাপারে কিছুই জানি না। তারা ভয়ে হয়তো আমার নাম প্রকাশ করেছে। এদের বিচার হওয়া উচিত।
মুরাদনগর উপজেলা সামাজিক ও বন অফিসার আবদুল মতিন বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। আজকে শুনেছি। তদন্ত করে প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রায়হানুল আলম বলেন, পাঁচ-ছয় বছর আগে সোয়া কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাজুড়ে সরকারিভাবে গাছগুলো লাগানো হয়। গাছগুলো কে বা কারা কেটে ফেলেছে বলে তিনি শুনেছেন। মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত উদ্দিন বলেন, যারাই সরকারী গাছ কেটে নিয়ে বিক্রি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।