শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের তদন্ত

প্রকাশকালঃ ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৪:২৫ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের তদন্ত

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে শুধুমাত্র রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলার (প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা) আত্মসাতের অভিযোগটি অন্যতম।
 

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ তদন্তের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থার একটি ঊর্ধ্বতন সূত্র।
 

সূত্র জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, এবং ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের মধ্যে রূপপুর ছাড়াও আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ আরও কিছু প্রকল্পের দুর্নীতি তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।
 

এর আগে, ১৫ ডিসেম্বর, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট রুল জারি করে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের বিষয়ে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগও সামনে আসে।
 

৩ সেপ্টেম্বর, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ হাইকোর্টে রিট করেন, যেখানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়। এতে দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
 

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১৭ আগস্ট গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামের মার্কিন একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, রূপপুর প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রাশিয়ার কোম্পানি রোসাটম মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক এই অর্থ পাচারে মধ্যস্থতা করেন বলে অভিযোগ করা হয়।
 

রিপোর্টে আরও বলা হয়, প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ এক হাজার ২৬৫ কোটি ডলার প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ছিল, যার মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাতের সুযোগ তৈরি হয়। টিউলিপ সিদ্দিক, শেখ রেহানা এবং তাদের পরিবারের আরও কিছু সদস্য এ দুর্নীতির মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন।
 

তবে, ২০ আগস্ট রোসাটম কর্তৃপক্ষ গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিবৃতি দেয়। তারা জানায়, প্রতিষ্ঠানটির সুনাম রক্ষার স্বার্থে তারা আইনি পদক্ষেপ নিতেও প্রস্তুত।