পৌষে কাঁপছে কুড়িগ্রামের অসহায় শীতার্তরা, তাপমাত্রা ১০:০২ ডিগ্রি

ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা গত দুদিনে আরও বেড়েছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাতভর ঠান্ডা এবং সকাল দশটা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে গোটা জনপদ।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত দুদিনের চেয়ে আরও ৩ ডিগ্রি কমেছে। এটি চলতি শীত মৌসুমে সবচেয়ে নিম্ন জেলার তাপমাত্রা। ফলে জেলায় শীতের তীব্রতা ক্রমেই বেড়েই চলেছে। শীতের ঠান্ডায় যুক্ত হয়েছে হিমেল বাতাস। বিশেষ করে জেলার ১৬টি ছোটবড় নদী বিধৌত জেলার চর ও দ্বীপচরের বাসিন্দারা নদ-নদীর হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছেন।
ঠান্ডায় চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষ। অনেকেই পরিবারের আয়-রোজগারের কথা ভেবে শীতের তীব্রতাকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন সকালে দেরিতে হলেও কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। সূূর্যের আলোর উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে নিম্নগামী হতে থাকে তাপমাত্রা। এতে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছেন।
অন্যদিকে, জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কাশি ও জ্বরসহ শীতের ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ১৫ দিন ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১১-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। তবে গত দুদিনে তাপমাত্রা অনেক কমে এখন ১০ ডিগ্রির ঘরে চলে এসেছে। আরও তাপমাত্রা কমে মৃদু কিংবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা জানান, এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের উপজেলা পর্যায়ে নগদ ২৭ লাখ টাকা এবং ২০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও সরকারিভাবে বরাদ্দ এলে সেগুলো দ্রুত বিতরণ করা হবে।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫