১৫ বছরে রাজনৈতিক পরিচয়ে ৯০ হাজার পুলিশ নিয়োগ: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশকালঃ ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৩:২৩ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
১৫ বছরে রাজনৈতিক পরিচয়ে ৯০ হাজার পুলিশ নিয়োগ: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা প্রেস নিউজ
 

গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে পুলিশের চাকরিতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
 

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই তথ্য তুলে ধরেন।

 

সাজ্জাত আলী জানান, বিগত সরকারের সময়ে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়ার আগে প্রার্থীদের বিস্তারিত যাচাই করা হতো। তাদের রাজনৈতিক পরিচয়, এমনকি বাবা-দাদা বা পূর্বপুরুষের রাজনৈতিক সংযোগও খতিয়ে দেখা হতো। দুই লাখ পুলিশ সদস্যের মধ্যে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার সদস্য এভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। তিনি বলেন, “এখন তো তাদের বলার সুযোগ নেই যে, বাসায় ফিরে যাও। তবে পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে যারা অপকর্মে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

 

জুলাই-আগস্টের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি জানান, মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানির ঘটনা বেড়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে কিংবা মামলার বাদীদের বিরুদ্ধে, যাদের চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “আমরা কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেব না।”

 

ছাত্র-জনতার আন্দোলন কেন্দ্র করে অনেক নিরপরাধ মানুষকে মামলায় আসামি করা হয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ভয়ের কিছু নেই। তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, শুধু তাদেরই গ্রেপ্তার করা হবে।”

 

তিনি জানান, পুলিশের সেবার মান আরও উন্নত করা হচ্ছে। থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে ৪৮-৭২ ঘণ্টা নয়, বরং ১-২ ঘণ্টার মধ্যেই সাড়া দেওয়া হবে। প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। “মামলা কিংবা জিডি, যেটার প্রয়োজন সেটাই নেওয়া হবে। কোনো ঘটনা লুকানো যাবে না,” বলেন তিনি।

 

রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমানে এটি বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এর জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন।”
 

তিনি আরও জানান, ঢাকায় বিপুল সংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল নগরজীবনে অসুবিধা সৃষ্টি করছে। এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে সাধারণ মানুষের চলাচল বাধাগ্রস্ত না হয়।
 

ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, পুলিশ বাহিনীকে আরও পেশাদার ও জনবান্ধব করতে বেশ কিছু পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।