ঢাকা প্রেস নিউজ
শরীয়তপুরে রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। জুন মাসে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রায় ১৫০টি এই বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা আতঙ্কে অনেক সাপকে পিটিয়ে বা পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে।
রাসেলস ভাইপার সাপের প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংসের ফলে তারা বসতি এলাকায় ঢুকছে। ইঁদুর, খাড়াশ, শেয়াল ইত্যাদি রাসেলস ভাইপার সাপের প্রধান খাদ্য। বসতি এলাকায় এই খাদ্যের প্রাচুর্যতা সাপের আকর্ষণ করছে। অনেকেই রাসেলস ভাইপার সাপ সম্পর্কে জানেন না এবং ভুল ধারণা রাখেন। এর ফলে তারা সাপ দেখে আতঙ্কিত হয়ে মেরে ফেলে।
রাসেলস ভাইপার সাপের কামড় মারাত্মক হতে পারে। তাই সাপ দেখে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। রাসেলস ভাইপার সাপ ইঁদুর, খাড়াশ, শেয়াল ইত্যাদি খায়। এই প্রাণীরা ফসলের ক্ষতি করে। সাপের বৃদ্ধি ফসলের ক্ষতি আরও বাড়াতে পারে। রাসেলস ভাইপার সাপ খাদ্য শৃঙ্খলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি বা হ্রাস পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
রাসেলস ভাইপার সাপ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাদের উচিত জানা যে এই সাপগুলোকে হত্যা করা উচিত নয় এবং সাপে কামড়ালে কিভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হবে। রাসেলস ভাইপার সাপের প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা করা জরুরি। বন ও জলাশয় ধ্বংস বন্ধ করতে হবে। বসতি এলাকায় ইঁদুর, খাড়াশ, শেয়াল ইত্যাদির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এর ফলে রাসেলস ভাইপার সাপের আকর্ষণ কমবে। রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা গেলে স্থানীয় বন বিভাগ বা সাপুড়েদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তারা নিরাপদে সাপটিকে উদ্ধার করে প্রাকৃতিক আবাসস্থলে নিয়ে যাবে।