যোগব্যায়াম ওজন তো কমাবেই, তার সঙ্গে শরীরও থাকবে ফিট এবং তরতাজা। ওজন কমানোর অব্যর্থ দাওয়াই হল যোগ ব্যায়াম। এমন অনেকেই আছেন, যারা ওজন ঝরাতে চাইছেন। অথচ জিমে যেতে কিংবা ডায়েট করতে তাদের তীব্র অনীহা। ফলে ওজন কমানো আর হয়ে ওঠে না। তবে ওজন ঝরানোর দৌড়ে শামিল হতে চাইলে ঘরে বসেই শুরু করা যেতে পারে যোগাসন বা যোগাভ্যাস।
বালাসন
এই আসনটি করার জন্য ধীরে ধীরে হাঁটুটাকে ভাঁজ করতে হবে। এর পর গোড়ালির উপর বসে শরীরটাকে সামনের দিকে বাঁকিয়ে একেবারে ঝুঁকে যেতে হবে। এবার হাত সামনের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে মেঝেতে ঠেকিয়ে রাখতে হবে। এরপর মাথা নিচু করে তা মাটিতে ঠেকাতে হবে।
বদ্ধ কোণাসন
এই আসনটি করার জন্য নিজের পা দুটি সামনের দিকে ছড়িয়ে দিয়ে বসতে হবে। এবার পা দুটি বাঁকিয়ে পায়ের তলাগুলো একে অপরের সঙ্গে ঠেকিয়ে নিতে হবে। তবে হাঁটু দুটি যেন মেঝের সঙ্গে ঠেকে থাকে। এভাবে বসে হাত দুটি দিয়ে পায়ের পাতাগুলো চেপে ধরতে হবে। আর কোমরটা টানটান করে নিতে হবে। এর পর নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় ধীরে ধীরে হাঁটু নিচের দিকে ঠেলে দিতে হবে।
সুখাসন
এই যোগব্যায়ামটি করার জন্য সামনের দিকে পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসতে হবে। এবার হাঁটু মুড়ে বসতে হবে অর্থাৎ, পা ক্রস-লেগড অবস্থায় থাকতে হবে। এরপর হাতের তালু উপরের দিকে রেখে হাঁটুর উপর অনেকটা ধ্যানের মতো করে রাখতে হবে। আর এই আসনটি করার সময় পিঠ অবশ্যই সোজা রাখা উচিত।
আনন্দাসন
এই আসনটি করার জন্য প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। এবার হাত দুটি ছড়িয়ে রাখতে হবে এবং হাতের তালু দুটি উপরের দিকে মুখ করিয়ে রাখা বাঞ্ছনীয়। বড় বড় শ্বাস নিতে হবে, যাতে আমাদের ফুসফুস বাতাসে ভরে ওঠে। এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে যতক্ষণ পারা যায়।
বৃক্ষাসন
এর জন্য তাড়াসন থেকে শুরু করতে হবে। অর্থাৎ, সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাত দুটি জোড়া করে মাথার উপরের দিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। এরপর বাম পায়ের ঊরুর ভিতরের দিকে ডান পায়ের পাতাটা রাখতে হবে। অন্য পায়েও এর পুনরাবৃত্তি করতে হবে।
বজ্রাসন
এর জন্য হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসতে হবে। শরীরটাকে নমনীয় করেই বসতে হবে। এবার পিঠ সোজা রেখে হাতের তালু হাঁটুর উপর রাখতে হবে। এই অবস্থায় কিছুক্ষণ বসতে হবে।
ওজন কমানোর জন্য এই ব্যায়ামগুলো দিয়েই যোগাভ্যাস শুরু করা উচিত। তবে অনুশীলনের সময় সাবধান। সতর্ক হয়েই এসব আসনের অভ্যাস করতে হবে।