কামারচাক ও টেংরা ইউনিয়নের ভাঙাচোরা সড়কে ভোগান্তি ২০ হাজার মানুষের

প্রকাশকালঃ ২৩ জুলাই ২০২৩ ১২:৫৭ অপরাহ্ণ ১৮৪ বার পঠিত
কামারচাক ও টেংরা ইউনিয়নের ভাঙাচোরা সড়কে ভোগান্তি ২০ হাজার মানুষের

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় ৫ কিলোমিটার সড়কের জন্য চরম দুর্ভোগে রয়েছেন কামারচাক ইউনিয়ন ও টেংরা ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি মেরামত না করায় সমস্যায় পড়ছেন এই দুই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। এমনকি মুমূর্ষু রোগী ও গর্ভবতী নারীদেরও পেতে হচ্ছে কষ্ট। 

মনু নদীর বালুমহালের ভারী যানবাহন চলার কারণেই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় জনসাধারণ।

এদিকে সড়কটি মেরামতের জন্য ১৫ কোটি টাকার একটি প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হলেও তা এখনো অনুমোদন হয়নি। ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগের কোনো অন্ত নেই চলাচলকারীদের।

স্থানীয় ও উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়ন জনবহুল একটি ইউনিয়ন। মৌলভীবাজার ও রাজনগরের সঙ্গে এ ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম টেংরা-তারাপাশা সড়ক।


কুলাউড়া-মৌলভীবাজার সড়কের টেংরাবাজার থেকে দক্ষিণ দিকে কামারচাক ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে রাজনগরের সীমানা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এরপর রয়েছে কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষাড় ইউনিয়ন। এ সড়ক দিয়েই কামারচাক ইউনিয়ন ছাড়াও টেংরা ইউনিয়নের একাংশের মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।

এ ছাড়া কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার, কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের মানুষেরও যোগাযোগের একটি মাধ্যম এ সড়ক। কামারচাকের তারাপাশা থেকে টেংরা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক বর্তমানে খানাখন্দে ভরে গেছে। একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। 

এদিকে মনু নদীর বালুমহালের বালু পরিবহনে ভারী যানবাহনের কারণে সড়কটি দ্রুতই ভেঙে যাচ্ছে। নিয়ম না মেনে ভারী ট্রাক চলাচল করায় সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
 

স্থানীয় তারাপাশা বাজারের ব্যবসায়ী শাহ আলম সাকিব বলেন, তারাপাশা থেকে টেংরাবাজার যেতে এখন খুব ভয় হয়। গাড়ি উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। পুরো সড়কই বড় বড় গর্তে ভরা। প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া সড়ক ভাঙাচোরার অজুহাতে গাড়িচালকরা ভাড়া বৃদ্ধি করেছেন। এতে সাধারণ মানুষ পড়েছে দুর্ভোগে। 

তারাপাশা বাজারের সিএনজি অটোরিকশাচালক মইনুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন এ সড়ক ব্যবহার করে রাজনগরসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। কিন্তু সড়ক এতই ভাঙা যে এতে প্রতিদিনই গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে।

স্থানীয় কামারচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান বলেন, পাঁচ কিলোমিটার এ ভাঙাচোরা সড়কের কারণে লোকজনের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে রোগী ও গর্ভবতী নারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকার মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেয় সেই দাবি জানাচ্ছি। 

এ বিষয়ে রাজনগর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আকরাম হোসেন তালুকদার জানান, টেংরা-তারাপাশা সড়কের রাজনগরের সীমানা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের মেরামতের জন্য ১৫ কোটি টাকার প্রাক্কলিত বরাদ্দ তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ অনুমোদন হলেই কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হবে। বালু পরিবহনে ভারী ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটি দ্রুতই ভেঙে যায়।