প্রকাশকালঃ
২৬ জুলাই ২০২৩ ০২:০৬ অপরাহ্ণ ২০০ বার পঠিত
কর্মব্যস্ত জীবনে সবসময় সাজিয়ে-গুছিয়ে সময় নিয়ে রান্না করা সম্ভব হয় না। ঝটপট রান্নার কাজটা সেরে যেতে হয় অন্য কাজে। তাই বলে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। এক দিনেই সাত দিনের রান্না। শুনে মনে হচ্ছে, এ আবার কি! এটাও সম্ভব। অফিস থেকে ফিরে প্রতিদিন খাবারের পদ নিয়ে চিন্তা করতে হয়। ক্লান্ত শরীরে ঢুকতে হয় রান্নাঘরে।
আর কর্মজীবী নারীদের হাতে সময়ও কম থাকে। তাই সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোয় যদি রান্না করে রাখা যায়, তবে সারা সপ্তাহ নিশ্চিন্তে থাকা যাবে। ভাবতে পারেন, পচে নষ্ট হয়ে যাবে না তো। সেজন্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। চলুন তাড়াতাড়ি রান্না করার কিছু টিপস জেনে নিই—
বাড়িতে যা যা রাখতে হবে
প্রথমত বাড়িতে অবশ্যই ফ্রিজ রাখতে হবে। সময় বাঁচাতে প্রেসার কুকার, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার, মিক্সার, জুসার কিনে রাখুন। সামর্থ্য থাকলে মাইক্রোওয়েভ কিনতে পারেন। খাবার গরম করতে এর কোনো তুলনা নেই।
রান্না ও সংরক্ষণ পদ্ধতি
মাংস রান্না করে রাখলে অনায়াসে সাত দিন খাওয়া যায়। গরু, খাসি বা মুরগির মাংস সাধারণ তাপমাত্রায় রাখতে চাইলে ভুনা করে রাখতে পারেন। আর ঝোলসহ হলে অবশ্যই ডিপ ফ্রিজে রাখতে হবে। আলাদা বাটি বা বক্সে করে রেখে দিতে হবে। এ ছাড়া মাংস সেদ্ধ করে রাখতে পারেন। খাওয়ার আগে আলু, পেঁপে আর মসলা দিয়ে রান্না করে নিতে পারেন। তবে প্রতি বেলায় কতটুকু খাবেন, সে অনুযায়ী বাটিতে করে রাখুন।
ভালোভাবে মুখ বন্ধ করুন, যাতে তাতে অন্য খাবারের গন্ধ মিশে না যায়। মাছ ভেজে রাখুন। চাইলে ভাজা মাছ রান্না করে রাখতে পারেন। ভাজা মাছের সঙ্গে অন্য কিছু মিশিয়ে রান্না করেও রাখতে পারেন। এটি তিন দিন খেতে পারবেন। মাছের দোপেঁয়াজা রেঁধে সাধারণ তাপমাত্রায় ফ্রিজে রাখতে পারেন। চার দিন তো খেতেই পারবেন। শুধু ভাজা মাছ ডিপফ্রিজে রেখে পরে রান্না করলে এর স্বাদের কোনো পরিবর্তন হয় না।
এবার আসা যাক সবজির দিকে। সব ধরনের সবজি প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। আপনার পছন্দমতো আকারে কেটে নিন। এরপর প্যাকেটে করে ডিপফ্রিজে রাখুন। প্রয়োজন অনুযায়ী প্যাকেট করুন। সাত দিন ধরেই বের করে রান্না করে খেতে পারবেন। ঝোল ছাড়া সবজি রান্না করে ডিপফ্রিজে রাখতে পারেন। প্রতিদিন খাবারের আগে বের করে ছুরি দিয়ে কেটে নিন। এরপর গরম করে খেতে পারবেন।
এসব খাবার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম করতে হবে। চুলায় করতে চাইলে ‘ডাবল বয়েল’ করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে একটি পাত্রে পানি নিয়ে এর মধ্যে খাবারের বাটি রেখে দিন। পানির গরমে খাবারটি গরম হয়ে যাবে। এছাড়া বাষ্পের সাহায্যে খাবার গরম করতে পারেন। বিশেষ করে সকালে বা আগের রাতের রান্না করা ভাত এ পদ্ধতিতে গরম করলে স্বাদ ঠিক থাকে।
এ ছাড়া খিচুড়ি, ফ্রায়েড রাইস রান্না করলে দুই দিন খাওয়া যায়। নাশতার মধ্যে কাবাব, সবজি বা মাছের রোল তৈরি করে রেখে দিন। পরে শুধু ভেজে পরিবেশন করুন। হালুয়া, পায়েস ও ফিরনি করে সাত দিন সহজেই খাওয়া যায়। দ্রুত রান্না করতে চাইলে গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন। ছত্রাক সংক্রমণ হলে অথবা বাসি বা পচা খাবার অবশ্যই ফেলে দেবেন। সব ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।