শহীদ আসাদ স্মরণীয় মুক্তিকামী মানুষের প্রতীক: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকা প্রেস নিউজ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে জীবন উৎসর্গকারী শহীদ আসাদ চিরকাল এ দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী ও মুক্তিকামী মানুষের হৃদয়ে অমলিন হয়ে থাকবেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) ‘শহীদ আসাদ দিবস’ উপলক্ষে প্রদত্ত এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম, দায়িত্বশীলতা এবং সত্যের পক্ষে অটল থাকার অনুপ্রেরণা জোগায়। এর প্রমাণ ১৯৬৯ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সম্মিলিত গণঅভ্যুত্থান। তিনি উল্লেখ করেন, শহীদদের এই ত্যাগ কখনো বৃথা যেতে পারে না।
তিনি বলেন, শহীদ আসাদ দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
প্রধান উপদেষ্টা স্মরণ করিয়ে দেন, পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণ, নির্যাতন এবং দমন-পীড়নের ফলে বাঙালি জাতি যখন দিশাহারা ছিল, তখন শহীদ আসাদের মতো সাহসী নেতা ও মুক্তিকামী মানুষের আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যায়।
ড. ইউনূস বলেন, ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শহীদ হন এবং অনেকেই আহত হন। শহীদ আসাদের এ আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনে এক নতুন শক্তি যোগায়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, স্বাধিকারের দাবিতে ছাত্র, শ্রমিক এবং সব শ্রেণি-পেশার মানুষ জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে। এই আন্দোলন ধীরে ধীরে তীব্রতর হয়ে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
বাণীর শেষে প্রধান উপদেষ্টা শহীদ আসাদসহ সব শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫