ভারত-মিয়ানমারের গরু: বাংলাদেশের খামারিদের উদ্বেগ

ঢাকা প্রেসঃ
গত বছরের চেয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ বেশি গরু আমদানির আশঙ্কায় দেশীয় খামারিরা উদ্বিগ্ন,তারা মনে করেন, ভারতীয় গরুর ঢল তাদের ঈদের বাজারে লোকসানের কারণ হতে পারে,গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধির পরও তারা টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে।
সীমান্ত পাচার:
- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সীমান্ত দিয়ে গরু আমদানি নিষিদ্ধ করলেও, বাস্তবে তা চলছে।
- গত কয়েক সপ্তাহে, চোরাকারবারিরা গরু পাচারের চেষ্টা করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক, গুলিবিদ্ধ ও নিহত হয়েছে।
খামারিদের দাবি:
- তারা সীমান্তে কঠোর নজরদারি চায় যাতে গরুর পাচার বন্ধ করা যায়।
- তারা যুক্তি দেন যে দেশীয় চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক গরু দেশে রয়েছে।
বাজারে প্রবাহ:
- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় ১ কোটি ৩০ লাখ গরুর বিপরীতে ১ কোটি ১০ লাখ গরু প্রস্তুত রয়েছে।
- অর্থাৎ, চাহিদার তুলনায় ২০ লাখ গরু বেশি।
- রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যেই কোরবানির পশুর হাট বসছে।
- অনেক ক্রেতা আগাম বুকিং দিয়ে রাখছেন।
খামারিদের বক্তব্য:
- খামারিরা বলছেন, গরুর দাম বেশি।
- গত বছরের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বেশি দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে।
- ভারতীয় গরু আসলে দাম আরও কমে যেতে পারে, যা তাদের জন্য ক্ষতিকর হবে।
সামগ্রিকভাবে:
- ভারত-মিয়ানমার থেকে গরুর আমদানি বাংলাদেশের খামারিদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
- তারা ঈদের বাজারে লোকসানের আশঙ্কা করছে।
- সরকার সীমান্ত নজরদারি জোরদার করার মাধ্যমে তাদের সুরক্ষা দিতে পারে।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫