সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জনের নীতির অংশ হিসেবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে বিএনপি তাদের দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে।
দল নেতারা জানিয়েছেন, তৃণমূলের ৪০-৪৫ জন প্রার্থী দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাদেরকেও মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দিচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে ফেলেছেন এবং বাকিদেরও আগামী রোববারের মধ্যে তাই করার আশা করছে বিএনপি।এই সিদ্ধান্তের পেছনে দলের যুক্তি হলো, দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। বিএনপি নেতারা ভয় করছেন যে, তাদের প্রার্থীরা নির্বাচনে হেরে গেলে তা দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি করবে।তবে, দলের কিছু নেতা এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট। তাদের মতে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে বিএনপি তাদের সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করতে পারত। তারা আশঙ্কা করছেন যে, এই সিদ্ধান্ত দলের ভিত্তিকে দুর্বল করতে পারে।
বিএনপি নেতারা বলছেন, বিএনপি দলীয়ভাবে ভোট বর্জন করলেও তৃণমূলে দলের ৪০ থেকে ৪৫ জন প্রার্থী ভোটে থেকে যায়। তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনুরোধ করেন। এরপর দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে অনেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেও নিয়েছেন। আগামী রোববার বাকিরা প্রত্যাহার করে নেবে বলে আশা করে বিএনপি।
নাম না প্রকাশের শর্তে বিএনপির এক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আসলে এবার নির্বাচনে যেহেতু দলীয় প্রতীক নেই, আমাদের উচিত ছিল ভোটে যাওয়া। এতে করে তৃণমূলে দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়তো নির্বাচনী কর্মকাণ্ড ঘিরে। তিনি আরও বলেন, দলের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যারা ভোটে অংশ নিয়েছে তাদের সরে যেতে। সেই অনুযায়ী ভোটে অংশ নেওয়া নেতাদের ফোন করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করছি। এরপর যারা নির্বাচনে থেকে যাবে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। যদিও এতে দলের সাংগঠনিক শক্তির ক্ষতি হবে।