যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকায় ইসলামপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
প্রকাশকালঃ
০৬ জুলাই ২০২৪ ০২:৫৫ অপরাহ্ণ ৮৫৯ বার পঠিত
জামালপুরের ইসলামপুরে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকায় উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি হুহু করে বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার সঙ্গে বানিয়াবাড়ী, দেলীরপাড়, গুঠাইল বাজার, আমতলী বাজার হতে ডেবরাইপ্যাচ, উলিয়া বাজার বামনা, শিংভাঙ্গা, উলিয়া, সোনামুখি, বেলগাছা, জারুলতলা, কুলকান্দি ও সদর ইউনিয়নের পচাবহলা, মলমগঞ্জ, শশারিয়াবাড়ীসহ পশ্চিমাঞ্চলের আটটি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে পৌর এলাকার নটারকান্দা সড়কসহ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ।
চিনাডুলী ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের আলী বলেন, হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাম জানান, পুরো ইউনিয়ন বন্যায় আক্রান্ত হয়ে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। রাস্তাগুলো তলিয়ে গিয়েছে। ভানবাসী মানুষ খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। রাতারাতি পানি আসায় অনেকেরই গৃহস্থালি মালপত্র, হাঁস মুরগি ভেসে গেছে।
বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান আ. মালেক জানান, পুরো ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদিকে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় উপজেলার ৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫০টি মাধ্যমিক, ৫টি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, বন্যা আক্রান্তদের জন্য ১০৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। ১২০ মে.টন চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, প্লাবিত এলাকায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সব চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গ্রাম পুলিশদের সার্বক্ষণিক সতর্ক ও মেডিক্যাল টিমকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি মত বিনিময় শেষে পাথশী ইউনিয়ন ও কুলকান্দি ইউনিয়ন বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেছেন।