|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৪১ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ০৮ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:৩৪ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারে কেএফসি-পিৎজা হাট এখনও বন্ধ: ইসরায়েলি পণ্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ভাঙচুর


কক্সবাজারে কেএফসি-পিৎজা হাট এখনও বন্ধ: ইসরায়েলি পণ্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ভাঙচুর


মঈনুদ্দীন শাহীন (ষ্টাফ রিপোর্টার) কক্সবাজার:-

 

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে কক্সবাজারের কয়েকটি রেস্তোরাঁতে ভাঙচুর চালানো হয়, যার মধ্যে কেএফসি ও পিৎজা হাট অন্যতম। তবে অন্য রেস্তোরাঁগুলো খোলা থাকলেও, এই দুই প্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ রয়েছে। ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
 

কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোন কলাতলীতে ইসরায়েলি পণ্যের সাইনবোর্ড থাকার অভিযোগে এ বিক্ষোভ ও ভাঙচুর সংঘটিত হয়। সোমবার দুপুরে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে হলিডে মোড় ঘুরে লাবণী হয়ে কলাতলী এলাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁতে আক্রমণ চালায়। এই সময় কেএফসি-পিৎজা হাট, পানসি, বীচ বিরাম, কাঁচা লংকা ও মেরিন ফুডসহ মোট ৬টি রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর করা হয়।
 

কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আলী বলেন, "ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের সবসময় সংহতি রয়েছে, তবে ইসরায়েলি পণ্য রাখার অজুহাতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল মানুষ এ ভাঙচুর চালিয়েছে।" তিনি আরও বলেন, এই ধরনের অঘটন কক্সবাজারের পর্যটনের জন্য ক্ষতিকর এবং প্রশাসনের উচিত এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা।
 

ভাঙচুরের পর কেএফসি-পিৎজা হাটের তৃতীয় ও দ্বিতীয় তলায় বেশ কিছু কাঁচ ভেঙে গেছে এবং এই দুই রেস্তোরাঁ এখনও বন্ধ রয়েছে। কক্সবাজার পিৎজা হাটের ইনচার্জ পারভেজ মিয়া জানান, "আমাদের রেস্তোরাঁতে বেশ কিছু কাঁচ এবং যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়নি।"
 

পানসি রেস্তোরাঁর মালিক জাফর আলম বলেন, "হঠাৎ বিক্ষোভকারীরা এসে রেস্তোরাঁ ভাঙচুর চালায়, এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।" কাঁচা লংকা রেস্তোরাঁর ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ জানান, "সাইনবোর্ডে সেভেন আপের বিজ্ঞাপন ছিল, তাই আমাদের রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর করা হয়।"
 

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান জানান, "হাশেম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে আরও অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।"
 

এ ঘটনায় প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫