বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম চার ম্যাচের একাদশে জায়গা হয়নি মোহাম্মদ শামির। পঞ্চম ম্যাচে এসে সুযোগ পান হার্দিক পান্ডিয়ার ইনজুরির কারণে। ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নেমেই শিকার করেন ৫ উইকেট। ৩৩ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার এরপর নিজের স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে যান। ফাইনাল পর্যন্ত মাত্র ৭ ম্যাচ খেলেই তুলে নেন আসরের সর্বোচ্চ ২৪ উইকেট ! যেখানে ৫ উইকেট তিনবার। বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও একটা স্বপ্নপূরণ হলো শামির।
অবিশ্বাস্য পারফর্ম্যান্সের সুবাদে ভারতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মাননা অর্জুন পদক জিতলেন আলোচিত এ ক্রিকেটার। যার পুঁথিগত নাম ‘অর্জুনা অ্যাওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যান্ডিং পারফর্ম্যান্স ইন স্পোর্টস অ্যান্ড গেমস।’ ভারতীয় ক্রীড়ার এর ওপরে আর একটিই স্বীকৃতি আছে, ‘খেলরত্ন অ্যাওয়ার্ড।’ এই সম্মাননা জীবনের সেরা অর্জন বলছেন শামি।
মঙ্গলবার ভারতের রাষ্ট্রপতি দৌপদি মুর্মুর হাত থেকে অর্জুন অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের পর শামি বলেন, ‘এটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। অনেকের জীবন চলে যায়, কিন্তু এই পুরস্কার জিততে পারে না। আমি খুবই খুশি যে আমাকে এর জন্য মনোনীত করা হয়েছে। আমার কষ্টের ফসল এটি। ভাগ্যে লেখা থাকলে কেউ তা বদলাতে পারে না। ভাগ্যে কিছু নির্ধারিত হয়ে থাকলে তা হবেই। স্রেফ কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে। এটির পুরস্কার মিলবেই।’
২০১৩ সালে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা শামি এ পর্যন্ত ৬৪ টেস্ট নিয়েছেন ২২৯ উইকেট। ইনিংসে ৫ উইকেট ছয়বার। ১০১ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে তার শিকার ১৯৫ উইকেট। ৫ উইকেট পাঁচবার। সেরা ৭/৫৭, বিশ্বকাপের সেমিফাইানালে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ২৩ টি২০তে নামের পাশে ২৪ উইকেট। সেরা ৩/১৫।