২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জুয়েলারি শিল্পের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ওপর অপরিকল্পিত উৎস কর এবং কাঁচামাল ও মেশিনারিজ আমদানির ওপর অসম শুল্কের বোঝা চাপানো হয়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
গতকাল রবিবার রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত বাজুসের কার্যালয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য দেওয়া প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, দেশের জুয়েলারি খাতকে গার্মেন্টসের মতো রপ্তানিমুখী শিল্প হিসাবে গড়ে তুলতে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা ও মেশিনারিজ আমদানিতে শুল্ককর রেয়াতের ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের স্বর্ণশিল্পীদের হাতে তৈরি গয়না স্থানীয় ও বিশ্ববাজারে সমানভাবে সমাদৃত। কিন্তু এই খাতের সঠিক পরিচর্যার অভাবে স্থানীয় স্বর্ণশিল্পীরা কাজের অভাবে দুঃখ-দুর্দশায় জীবন-যাপন করছেন। স্থানীয় কারিগররা পেশা বদল করে অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রাক-বাজেট আলোচনার সময় ১৫টি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলাম, যা ছিল আমাদের জুয়েলার্স মালিকদের আশার প্রতিফলন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, প্রস্তাবিত বাজেটে একটি দাবিও পূরণ হয়নি। ফলে জুয়েলারিশিল্প হুমকির মুখে পড়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক কাঁচামাল ও মেশিনারিজ আমদানিতে কালক্ষেপণ, অতিরিক্ত শুল্ক ব্যয়, সঠিক নীতিমালার অভাবের ফলে এই খাতকে পশ্চাৎপদে ধাবিত করছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাজুসের মুখপাত্র, সাবেক সভাপতি এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. দিলীপ কুমার রায়, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের সদস্যসচিব ও কার্যনির্বাহী সদস্য পবন কুমার আগরওয়াল।