শেখ হাসিনার রায় ঘোষণা—দেশজুড়ে জনতার উল্লাস
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার প্রধান রাজস্বাক্ষী ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ট্রাইব্যুনাল চত্বরে সাধারণ মানুষের মাঝে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। রায়কে স্বাগত জানিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষ মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস প্রকাশ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে আনন্দমিছিল বের করেন। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় ছাত্র জনতার উল্লাসমুখর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ‘জুলাই শহীদ’ পরিবারের মধ্যে বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত রায়ে উল্লেখ করেন—শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান কামাল এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আদালতের মতে, মামুনের অপরাধ সর্বোচ্চ শাস্তির উপযুক্ত। পাশাপাশি রায়ে বলা হয়, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের দেশত্যাগ ও পলায়নও তাদের অপরাধের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ।
এদিকে, পলাতক থাকায় আসামিরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন না। ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার জানান, ট্রাইব্যুনাল আইনে পরিষ্কারভাবে বলা আছে—রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করলে তবেই আপিলের সুযোগ মিলবে।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫