ভালো রেস্টুরেন্টে কম বাজেটে খাওয়ার উপায়

সপ্তাহজুড়ে ক্লান্তি। তারপর ইচ্ছে হলো নিজেকে একটা ট্রিট দেওয়া যাক। অথবা প্রিয়জনকে নিয়ে খেতে যাওয়ার ইচ্ছে। হতে পারে বন্ধুদের খাওয়াবেন। নানা কারণেই ভালো একটি রেস্টুরেন্টে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে খাওয়ার শখ থাকে অনেকের।
সেটা একটি ভালো মুহূর্ত হয়। আর এই মুহূর্ত গড়ে তোলার জন্য অন্তত বাজেট ঠিক রাখা চাই। সমস্যা হলো অধিকাংশ রেস্টুরেন্টে খাবারের দাম চড়া। আর জনপ্রিয় অনেক ফুডকোর্টে এত ভিড় যে একটি নিভৃতে আলোচনার সুযোগ থাকে না। সময়টা উপভোগ করা যায় না। সেক্ষেত্রে কয়েকটি টিপস অনুসরণ করা যেতে পারে:
আজকাল ব্যবসার প্রসারের জন্য রেস্টুরেন্ট নানা মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে। সীমিত সময়ের এই পদ্ধতি অনেক সময় আপনার সুবিধা দিতে পারে। সেটা কিভাবে? আসুন দেখে নেই।
অর্ডার করবেন ভেবে
অর্ডার করার আগে ভাবুন। তাই খাবার অর্ডারের জন্য সময় নিন। ওয়েটার এসে দাঁড়িয়ে থাকলে অস্বস্তিতে অনেকেই অর্ডার করে ফেলেন। তা না করে আপনি বলুন কিছুক্ষণ পর অর্ডার করবেন। আবার যদি আপনার ধারণা না থাকে ওয়েটারকে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন। পশ্চিমা দেশে অনেকে ওয়েটারকে বাজেট অনুযায়ী খাবার সাজেস্ট করার অনুরোধ করে। এটিও রেস্টুরেন্টের এটিকেটের মধ্যে পড়ে। আপনিও তা অনুসরণ করুন। সমস্যা তো নেই।
সাপ্তাহিক ছুটিতে যাবেন না
সাপ্তাহিক ছুটিতে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার চিন্তা না করাই ভালো। রেস্টুরেন্ট সচরাচর উইকেন্ডে কোনো ভালো অফার রাখে না। কারণ ওইদিন ক্রেতাও বেশি হয়। তাই উইকডেতে কোনো একদিন সময় বের করে নিন। বাড়তি চাপ। তবে অন্তত ক্লান্তিকর দিনটি শেষ করা যাবে। এই দিনগুলোতে ভালো কিছু অফার থাকে। রেস্টুরেন্টগুলো কাস্টমার ঘাটতি দূর করতেই এমন পদ্ধতির আশ্রয় নেয়। আপনি সহজেই ফেসবুক পেজের কিছু গ্রুপে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাবেন।
ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড
আজকাল ব্যাংকগুলো নানা রেস্টুরেন্টের সঙ্গে চুক্তি করতে শুরু করেছে। সচরাচর ক্রেডিট কার্ডে চুক্তিবদ্ধ রেস্টুরেন্টে বিশেষ ডিসকাউন্ট থাকে। তবে ডেবিট কার্ডেও এই সুবিধা অনেক ব্যাংক চালু করেছে। আপনি যদি একটু খোঁজ নেন তাহলে এই অফারগুলো জানতে পারবেন। আর এই সুবিধা নিলে আপনার জন্যেই ভালো। অনেক সময় বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি অফারও পেয়ে যেতে পারেন।
কুপন
অনেক নতুন রেস্টুরেন্ট কুপন বিলি করে। অনেকে লজ্জায় কুপন দিয়ে পেমেন্ট করতে চান না। এটার প্রয়োজন নেই। উন্নত বিশ্বে অনেকেই গর্বের সঙ্গে কুপন বিক্রি করে। মানসিকতার এই জায়গায় আমরা পিছিয়ে আছি। যদি কোনো রেস্টুরেন্টে কুপন থাকে তাহলে অবশ্যই তা ব্যবহার করুন।
পানীয়তে খরচ না করাই ভালো
খাবার অর্ডার দেওয়ার পর পানীয় না নেওয়াই ভাল। অনেক সময় কিছু রেস্টুরেন্ট পানির সঙ্গে বাড়তি বিল যোগ করে। আবার শেক বা অন্য পানীয় নিলে বাড়তি খরচ হয়। খাবার শেষে আপনার বাইরে গিয়ে পানীয় খেয়ে নিতে পারেন। এভাবে দিনে বৈচিত্র্য আসে আর খরচও কম হয়। বাজেটের ভেতর রেস্টুরেন্টে খাওয়ার কিছু বিষয় এমনই।
ডেজার্টের বিকল্প খোঁজা ভুল নয়
ডেজার্ট আইটেমে অনেক বেশি খরচ করতে হয়। আর অনেক সময় পুরো ডেজার্ট খাওয়াও যায় না। অপচয় হয়। বাজেটে রেস্টুরেন্টে গেলে অন্তত অপচয় করতে পারবেন না। রেস্টুরেন্টে ডেজার্ট না খেয়ে বাইরে কোনো মিষ্টির দোকান বাছাই করে সেখানে আলাদা অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। রেস্টুরেন্টেই নিজের সবকিছু বিনিয়োগ করার মানে নেই।
দলবেঁধে গেলে
বন্ধুরা দলবেঁধে গেলে প্রথমে পরিকল্পনা করুন। সবাই যদি টাকা ভাগ করে নেয় তাহলে অনেক ভালো হয়। বন্ধুদের সঙ্গে লজ্জার প্রসঙ্গ অবান্তর। কেউ কম বা বেশি দিতেই পারে। অন্তত একসঙ্গে আয়োজনটি তো হবে।
এক্সট্রা কিছু নেওয়ারই দরকার নেই
বার্গার, সাব বা অন্য কোনো খাবারের সঙ্গে এক্সট্রা প্যাটি, চিজ নেওয়ার সুযোগ থাকে। এক্সট্রা সসও নিতে পারেন অনেকে। এমনটা না করাই ভালো। এক্সট্রা নেওয়া মানেই বাড়তি যোগ হওয়া। আর এক্সট্রা কিছু দিলে আপনার যে স্বাদ বাড়বে তাও কিন্তু নয়।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫