ঢাকা প্রেস
আপনি কি এই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফলটি খেয়েছেন?
পায়েলা, যা টিপা নামেও পরিচিত, দেখতে অনেকটা লাল আঙুরের মতো। মিষ্টি স্বাদের এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
পায়েলা দেখতে অনেকটা লাল আঙুরের মতো। পাকলে এর রঙ লালচে বেগুনী হয় এবং ভেতরটা বাদামী বা কালচে গোলাপী রঙের হয়।
পায়েলা ফলের কিছু উল্লেখযোগ্য গুণ:
আয়রনের ভালো উৎস: পায়েলায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে এবং অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি কমায়।
হজমশক্তি উন্নত করে: পায়েলা হজমশক্তির জন্য উপকারী এবং লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে: পায়েলা ভেষজ ওষুধের মতো কাজ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ: পায়েলায় ভিটামিন সি থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, মুখের ক্ষত সারায় এবং খাবারে রুচি বাড়ায়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: পায়েলায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং কোষের ক্ষতি রোধ করে।
এসিডিটি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: এসিডিটির সমস্যা থাকলে পায়েলা খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো: পায়েলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়: নিয়মিত পায়েলা খেলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে: পায়েলা গাছের পাতা ও ফল ডায়রিয়া রোগের প্রতিরোধক।
ব্রংকাইটিসের জন্য উপকারী: শুকনো পায়েলা পাতা ব্রংকাইটিস রোগের জন্য বিশেষ উপকারী।
দাঁতের ব্যাথা উপশম করে: পায়েলা গাছের শিকড় দাঁতের ব্যাথা নিরাময়ে কাজ করে।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী: গর্ভবতী মহিলারা পায়েলা খেলে আয়রনের ঘাটতি সহজেই মেটাতে পারেন।
পায়েলা ফল কীভাবে খাবেন: পাকা পায়েলা ফল টাটকা খাওয়া যায়। পায়েলা দিয়ে জুস, জ্যাম, জেলি তৈরি করা যায়। পায়েলা শুকিয়ে পাউডার করে তা ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
পায়েলা ফল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়ায় ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে পায়েলা ফল বনে জন্মে থাকে। পায়েলা ফলের জন্মে আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাস।