|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৪ মে ২০২৫ ০৯:৩৩ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ০৯ আগu ২০২৩ ০১:৫১ অপরাহ্ণ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ডিএসইর লেনদেন আবার ৪০০ কোটি টাকার নিচে


ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ডিএসইর লেনদেন আবার ৪০০ কোটি টাকার নিচে


দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন আবার ৪০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। আজ মঙ্গলবার দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৮৬ কোটি টাকায়, যা ৮৬ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বশেষ চলতি বছরের ২৯ মার্চ ডিএসইতে সর্বনিম্ন ৩৮৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ গত ১৮ জুলাই ডিএসইতে লেনদেন ছিল ১ হাজার ৪৪ কোটি টাকা। এরপর লেনদেন একটু একটু করে কমতে থাকে। সর্বশেষ তা প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা কমে ৪০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে শেয়ারবাজার–সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যে। কারণ, লেনদেন কমে গেলে তাতে বিনিয়োগকারীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হন, তেমনি ব্রোকারেজ হাউস থেকে শুরু করে স্টক এক্সচেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংক—সবারই আয় কমে যায়।


শীর্ষস্থানীয় একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার নিচে নেমে গেলে তাতে পরিচালন লোকসানে পড়তে হয় বেশির ভাগ ব্রোকারেজ হাউসকে। তাতে তাদের বিনিয়োগের সক্ষমতাও কমে যায়।

অন্যদিকে ৫০০ কোটি টাকার কম লেনদেনে টান পড়ে স্টক এক্সচেঞ্জের আয়েও। আবার লেনদেন ধারাবাহিকভাবে কমতে শুরু করলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও কমে যায়। বাজারে লেনদেন কমে যাওয়ার জন্য বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একটি পক্ষ ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তরকে প্রধান কারণ বলে মনে করেন। তাঁরা বলছেন, বাজারের বেশির ভাগ শেয়ারই ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। তাতে বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ চাইলেও কোনো শেয়ার লেনদেন করতে পারছে না। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে লেনদেনে।

বিশেষ করে যাঁরা শেয়ারবাজারে ঋণ করে বিনিয়োগ করেছেন, বর্তমানে তাঁরাই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে ফ্লোর প্রাইসের কারণে বেশির ভাগ শেয়ারের কোনো লেনদেন করা না গেলেও প্রতিদিন ঋণের সুদ গুনতে হচ্ছে তাঁদের। এ কারণে অনেক বিনিয়োগকারীকে বাড়তি মূলধন জোগান দেওয়ার জন্য ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাঝারি পর্যায়ের এক বিনিয়োগকারী আজ এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে কোনো লেনদেন করতে পারছি না। এর মধ্যে ঋণের সুদের চাপ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। অন্যথায় শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে। এ অবস্থায় মূলধনসহ পুরো বিনিয়োগ হারানোর শঙ্কায় আছি।’

এদিকে ঢাকার বাজারে বেশ কিছুদিন ধরে লেনদেন ঘুরপাক খাচ্ছে হাতে গোনা কিছু কোম্পানিতে। ঢাকার বাজারে গতকালের লেনদেনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই ছিল মাত্র ১০ কোম্পানির দখলে। এর মধ্যে ১৩ শতাংশই ছিল আবার দুই কোম্পানির দখলে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫