|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১১:২০ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২৯ আগu ২০২৩ ০৪:২৫ অপরাহ্ণ

দেশে আবারও নগদ ডলারের সংকটে বেড়েছে ডলারের দাম


দেশে আবারও নগদ ডলারের সংকটে বেড়েছে ডলারের দাম


দেশে আবারও নগদ ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে। বেশির ভাগ ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারগুলোয় ডলার মিলছে না। ফলে নগদ ডলারের দাম আবারও বেড়ে গেছে। রাজধানীর খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১৭-১১৮ টাকার মধ্যে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী, এখন নগদে প্রতি ডলারের দাম ১১২ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে থাকার কথা।

ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারের কর্মকর্তারা বলছেন, গত জুলাই ও চলতি আগস্ট মাসে ডলার কেনার ব্যাপক চাহিদা ছিল। এ সময়ে অনেকে বিদেশে ভ্রমণের জন্য গেছেন। আবার শিক্ষার উদ্দেশে অনেকে বিদেশে গেছেন। তাঁদের প্রায় সবাই নগদ ডলার সঙ্গে করে নিয়েছেন। ফলে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়েছে।

ইউনেসকোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে অন্তত ৪৯ হাজার ১৫১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ৫৮টি দেশে পড়াশোনার জন্য বিদেশে গেছেন। ২০১৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ১১২ এবং ২০০৮ সালে ছিল ১৬ হাজার ৬০৯। ফলে গত ১৫ বছরে বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন গুণের মতো বেড়েছে।


২০২২ সালের জুলাই-আগস্টে সংকটের সময়ে খোলাবাজারে ডলারের দর সর্বোচ্চ ১২১ টাকায় উঠেছিল। এরপর ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠনকে (এবিবি) ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব দেয়। পাশাপাশি নগদ ডলারের দামও নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

১ আগস্ট থেকে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা ও রপ্তানি বিল নগদায়নে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা করে দাম দিচ্ছে। এ ছাড়া আমদানি পর্যায়ে ডলারের সর্বোচ্চ দাম ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। সরকারি খাতের ব্যাংকগুলো এখন নগদ ডলারের দাম ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছে, বেসরকারি খাতের ব্যাংকে যা ১১১ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত। মানি চেঞ্জারগুলো ডলারের দাম ব্যাংকের চেয়ে ১ টাকা বেশি রাখতে পারে।


তবে বাজারে ডলারের সরবরাহ নেই বলে জানান মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এস এম জামান। তিনি বলেন, ‘ডলারের সরবরাহ নেই, এ জন্য বিক্রিও করতে পারছি না। কিছুদিন আগে সরবরাহ পেয়েছিলাম, তখন ১১২ টাকা দামে বিক্রি করেছি।’

এদিকে ব্যাংকগুলোয়ও ডলারের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে বিক্রিও হচ্ছে কম। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, বিদেশফেরত নাগরিকেরাই সাধারণত ব্যাংকে নগদ ডলার সরবরাহের প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করেন। যেসব ব্যাংকের খুচরা গ্রাহক বেশি, তারা কিছু ডলার পাচ্ছে। মতিঝিল এলাকার ব্যাংকে নগদ ডলারের অন্যতম জোগানদাতা ছিল জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিস। তবে সেখানে এখন ডলার পাওয়া যাচ্ছে না।

জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার বলেন, ‘নগদ ডলার সরবরাহ থাকলে বিক্রি করা হয়। এখন কেউ আমাদের কাছে ডলার বিক্রি করছে না, এ জন্য আমরাও দিতে পারছি না। তবে মাঝেমধ্যে কেউ বিক্রি করলে আমরা তা গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করছি। আমরা ডলার নির্ধারিত দামেই বিক্রি করছি।’


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫