|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৫৪ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২৪ জুলাই ২০২৩ ০১:৩৬ অপরাহ্ণ

আমলকীর উপকারিতা


আমলকীর উপকারিতা


মলকীর ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। ফল ও পাতা দুটিই ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে। পুষ্টিবিজ্ঞানদের মতে, আমলকীতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।

আমলকীতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ দরকার। দিনে দুটো আমলকী খেলে এ পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। আমলকী খেলে মুখে রুচি বাড়ে। স্কার্ভি বা দন্তরোগ সারাতে টাটকা আমলকী ফলের জুড়ি নেই। 

এছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী। লিভার ও জন্ডিস রোগে উপকারী বলে আমলকী ফলটি বিবেচিত। আমলকী, হরিতকী ও বহেড়াকে একত্রে ত্রিফলা বলা হয়। এ তিনটি শুকনো ফল একত্রে রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা ছেঁকে খালি পেটে শরবত হিসেবে খেলে পেটের অসুখ ভালো হয়। বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিতে আমলকী ব্যবহার হয়। কাঁচা বা শুকনো আমলকী বেটে একটু মাখন মিশিয়ে মাথায় লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। কাঁচা আমলকী বেটে রস প্রতিদিন চুলে লাগিয়ে দুতিন ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এভাবে একমাস মাখলে চুলের গোড়া শক্ত, চুল উঠা এবং তাড়াতাড়ি চুল পাকা বন্ধ হবে।


ঔষধি গুণ
*আমলকী কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে।
*বমি বন্ধে কাজ করে।
*দীর্ঘমেয়াদি কাশি-সর্দি হতে উপকার পাওয়ার জন্য আমলকীর নির্যাস উপকারী।
*এটি হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধক। ভিটামিন ‘সি’-সমৃদ্ধ আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতেও আমলকী দারুণ সাহায্য করে। আমলকীর গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকীর নির্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।


আমলকী খাওয়ার উপকারিতা
*ভিটামিন ‘সি’-সমৃদ্ধ আমলকীতে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফ্রি র্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র্যাডিকালস।
*আমলকী ত্বক, চুল ও চোখ ভালো রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল, যা চোখের সঙ্গে জড়িত ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
*আমলকী হজমে সাহায্য করে ও স্টমাক অ্যাসিডে ব্যালেন্স বজার রাখে।
*আমলকী লিভার ভালো রাখে, ব্রেনের কার্যকলাপে সাহায্য করে ফলে মেন্টাল ফাংশনিং ভালো হয়।
*আমলকী ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।
*হার্ট সুস্থ রাখে, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তোলে।
*শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, মাসল টোন মজবুত করে।
*লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভালো রাখে।
*জ্বর, বদহজম, সানবার্ন, সানস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।
*আমলকীর জুস দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য উপকারী। ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় উপকারী।
*পেটের জ্বালা জ্বালাভাব কম রাখে। লিভারের কার্যকলাপে সাহায্য করে, পাইলস সমস্যা কমায়।
*শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। ব্রঙ্কাইটেসও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।
*আমলকী গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে থেকে পারেন। খিদে বাড়াতে সাহায্য করে।
*এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়া ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। অ্যাসিডিটির সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
*আমলকীতে সামান্য লবণ, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর খেতে পারেন।
*খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার খেতে পারেন। হজমে সাহায্য করবে।
*আমলকী মাঝারি আকারে টুকরো করে নিয়ে ফুটন্ত পানির মধ্যে দিন। আমলকী নরম হয়ে তরে নামিয়ে ঝরিয়ে লবণ, আদা কুচি, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে রেখে দিতে পারেন। সারা বছরই ভালো থাকবে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫