|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৯ জুলাই ২০২৫ ০৯:২০ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১৭ জুলাই ২০২৫ ০৯:৪৩ অপরাহ্ণ

সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় গৃহায়ণের অব্যবস্থাপনায় দুর্ভোগে- বেনারসি পল্লীবাসী


সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় গৃহায়ণের অব্যবস্থাপনায় দুর্ভোগে- বেনারসি পল্লীবাসী


আরিফুজ্জামান (সাগর),বিশেষ প্রতিনিধি:-


 

মিরপুরের বেনারসি পল্লীতে ১০ নাম্বার লেন এর সিটি কর্পোরেশনের ৪০ ফিট রাস্তার ৯ ফিট ই দখল করে আছে ১৯ নং এবং ২০ নং বাড়ী যার কারনে ভোগান্তিতে পড়েছে বেনারসি পল্লীবাসী। এই ১০ নং লেন সংস্কারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল- ২ এর ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার একটি টেন্ডার ইস্যু হয় যা স্থগিত অবস্থায় পড়ে আছে। 

এ বিষয়ে এলাকাবাসী " জাতীয় গৃহায়নের নিউক্লিয়াস প্লান অনুযায়ী প্রতিটি বাড়ির রেশিও ২৫" * ৪৭" হওয়া সত্ত্বেও ১০ নাম্বার লেনের এই ১৯ নং এবং ২০ নং বাড়ির মালিক বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার দরুন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অঞ্চল- ২ এর সার্ভেয়ারের মাধ্যমে অনৈতিক আর্থিক লেনদেন করে সিটি কর্পোরেশনের ৪০" ফিট রাস্তার  ৯" ফিট খন্ড জমি বরাদ্দ দিয়েছেন যা নিয়ম বহির্ভূত।

এলাকাবাসী "আসিফ ইকবাল" বলেন এই রোডের সকল বাড়ির আলাইনমেন্ট ঠিক রয়েছে এরা শিক্ষিত মানুষ হয়েও দৃশ্যমান এ দুটি বাড়ি রাস্তার মাঝে  চলে এসেছে, তারা সরকারি কাজকে ভুল বুঝিয়ে জায়গাটি দখল করে আছেন যখন আমরা বিষয়টা কে কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছি তখন তারা আবার সরকারি সাহায্য প্রত্যাশা করছেন। তারা একইভাবে চার ধরনের অপরাধ করেছেন।

তারা বিগত সময়ে ক্ষমতার অনৈতিক ব্যবহার করে যেমন রাস্তার জমি দখল করেছেন তেমনি বর্তমানে যখন রাস্তাটি সংস্কার হলে এলাকাবাসীর জীবনে স্বস্তি ফিরবে এমতাবস্থায় তারা রাস্তা সংস্কারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আরো বলেন এ ধরনের শিক্ষিত বাটপারদের সঠিক তদন্তপূর্বক বিচার করা উচিত।

স্থায়ী এলাকাবাসী "আবরার আহমেদ খাঁন" চেয়ারম্যান বিহারী সমাজ কল্যাণ সংসদ তিনি বলেন- বেনারসি পল্লীতে ০৪ টি সংযোগ রাস্তা রয়েছে যার মধ্যে দুটি ৬০ ফিট এবং দুটি ৪০ ফিট সংযোগ সড়ক রয়েছে যখন জনবসতি ৬০ হাজার ছিল তখন সিটি কর্পোরেশন ৬০ ফিট রাস্তা করার পরিকল্পনা ছিল এখন যখন জনসংখ্যা ৬ লক্ষ তখন কেন রাস্তা ৪০ ফিট হবে? তিনি আরো বলেন জাতীয় গৃহায়নের ১৯৮২ সনের যে মানচিত্র রয়েছে এই মানচিত্রের আলোকে সিটি কর্পোরেশন রাস্তাগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণ করে আসছেন কিন্তু পরবর্তীতে জাতীয় গৃহায়ন একটি নতুন মানচিত্র প্রণয়ন করেছেন যেটিকে নিয়মমাফিক হয়নি বলে আখ্যা দিয়েছেন একটি মানচিত্র সংশোধনে প্রকৌশলী সহ বিভাগীয় সচিব উপস্থিত থাকার কথা কিন্তু এ ঘটনায় সেটি সুষ্ঠুভাবে হয়নি বলে জানান, সিটি কর্পোরেশন ও হাউজিংয়ের জোকসাজসে কিছু অবৈধ দখলদার অর্থের বিনিময়ে রাস্তার জমি দখল করে আসছেন এবং তাতে বসতি নির্মাণ করে রাস্তার জমি দখল করে রেখেছেন।

এ বিষয়ে বাড়ি মালিক মোঃ এমারত হোসেন খান এর নিকট জানতে চাইলে- তিনি বলেন তিনি হাউজিংয়ের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়ম অনুসারে সকল সরকারি পাওনা দিয়ে ব্যাংক চালান এর মাধ্যমে আংশিক জমি যেটা জবরদখল বলা হচ্ছে তা ক্রয় করেছেন এ বিষয়ে তিনি একটি রিট ও করেছেন বিজ্ঞ সুপ্রিম কোর্ট আদালতে এ বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে সমাধান হবে বলে জানান।

এই বিষয়ে জাতীয় গৃহায়ণ নির্বাহী প্রকৌশলী কাউসার মোর্শেদ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি কোন প্রকার সাক্ষাৎ দিতে রাজি হন নাই, বিভিন্ন অজুহাতে বাহিরে আছেন ব্যস্ত আছেন বলে এড়িয়ে যান।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫