ঈমানের অসিলায় দোয়া করা কোরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত

প্রকাশকালঃ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৪৫ অপরাহ্ণ ২৩৭ বার পঠিত
ঈমানের অসিলায় দোয়া করা কোরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত

মান এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যার অসিলায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা যায়। ঈমানের অসিলা দিয়ে দোয়া করার বিষয়টি কোরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। পবিত্র কোরআনে দোয়ার ভাষ্যে এসেছে, মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে আমাদের রব, নিশ্চয়ই আমরা একজন আহ্বানকারীকে (মুহাম্মদ) ঈমানের প্রতি আহ্বান জানাতে শুনেছি এই বলে যে তোমরা তোমাদের রবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো। অতঃপর তাতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি।

সুতরাং হে আমাদের রব, তুমি আমাদের পাপ ক্ষমা করো ও আমাদের ভুল-ত্রুটি মার্জনা করো এবং আমাদের সৎকর্মশীলদের সঙ্গে মৃত্যুদান করো।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৯৩)


উল্লিখিত আয়াতে সুস্পষ্টভাবে ঈমানের অসিলায় দোয়া করার বিষয়টি প্রমাণিত। হাদিসেও ঈমানের অসিলায় দোয়া করার কথা আছে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ইবরাহিম (আ.) সারাকে সঙ্গে নিয়ে হিজরত করলেন এবং এমন এক জনপদে প্রবেশ করলেন, যেখানে এক বাদশাহ ছিল অথবা বলেন, এক অত্যাচারী শাসক ছিল।

তাকে বলা হলো যে ইবরাহিম (নামক এক ব্যক্তি) এক পরমা সুন্দরী নারীকে নিয়ে (আমাদের এখানে) প্রবেশ করেছে। সে তখন তাঁর কাছে লোক পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করল, হে ইবরাহিম, তোমার সঙ্গে এ নারী কে? তিনি বলেন, আমার বোন। অতঃপর তিনি সারার কাছে ফিরে এসে বলেন, তুমি আমার কথা মিথ্যা মনে করো না। আমি তাদের বলেছি যে তুমি আমার বোন।

`আল্লাহর শপথ! দুনিয়াতে (এখন) তুমি আর আমি ব্যতীত আর কেউ মুমিন নেই। সুতরাং আমি ও তুমি দ্বিনি ভাই-বোন। এরপর ইবরাহিম (আ.) (বাদশাহর নির্দেশে) সারাকে বাদশাহর কাছে পাঠিয়ে দিলেন। বাদশাহ তাঁর দিকে অগ্রসর হলো। সারা অজু করে সালাতে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং এ দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ, যদি আমি তোমার ওপর এবং তোমার রাসুলের ওপর ঈমান এনে থাকি এবং আমার স্বামী ছাড়া অন্যদের কাছে আমার লজ্জাস্থানের হেফাজত করে থাকি তাহলে তুমি এই কাফিরকে আমার ওপর বিজয়ী করো না।


তখন বাদশাহ বেহুঁশ হয়ে পড়ে মাটিতে পায়ের আঘাত করতে লাগল। তখন সারা বলেন, হে আল্লাহ, এ অবস্থায় যদি সে মারা যায় তাহলে লোকেরা বলবে, স্ত্রীলোকটি একে হত্যা করেছে। তখন সে সংজ্ঞা ফিরে পেল। এভাবে দুবার বা তিনবারের পর বাদশাহ বলল, আল্লাহর শপথ! তোমরা তো আমার কাছে এক শয়তানিকে পাঠিয়েছ। একে ইবরাহিমের কাছে ফিরিয়ে দাও এবং তার জন্য হাজেরাকে হাদিয়াস্বরূপ দান করো। সারাহ তখন ইবরাহিম (আ.)-এর কাছে ফিরে এসে বলেন, আপনি জানেন কি? আল্লাহ তাআলা কাফিরকে লজ্জিত ও নিরাশ করেছেন এবং সে এক দাসী হাদিয়া হিসেবে দিয়েছে।’ (বুখারি, হাদিস : ২২১৭)

আলোচ্য হাদিসে দেখা যায়, সারা (আ.) ঈমানের অসিলায় মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন। আর মহান আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেছেন।