ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে একজন পাইলট ও একজন শিক্ষিকাও রয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত ৭৮ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা সংকটজনক। বার্ন ইনস্টিটিউটে দুইজন রোগী ভেন্টিলেশনে আছেন।
এদিকে, ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে ৯ বছরের শিশু বাপ্পি আইসিইউতে মারা যায়। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এর আগে রাত সোয়া ৩টার দিকে আরও চার শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়—এরিকসন (১৩), আরিয়ান (১৩), নাজিয়া (১৩) ও সায়ান ইউসুফ (১৪)। তাদের দগ্ধতার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১০০, ৮৫, ৯০ ও ৯৫ শতাংশ।
রাত ১টার দিকে জানা যায়, অষ্টম শ্রেণির তানভীর আহমেদ, সপ্তম শ্রেণির আফনান ফাইয়াজ, প্রাইমারি সেকশনের হেড কো-অর্ডিনেটর মাহেরীন চৌধুরী এবং ষষ্ঠ শ্রেণির আব্দুল্লাহ সামিন মারা গেছেন। বর্তমানে ইনস্টিটিউটে ৪১ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
তবে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সোমবার রাত দেড়টায় দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নিহতের সংখ্যা ২০ এবং আহত ১৭১ জন। পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় আটজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনের ওপর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার সময় ওই ভবনে ক্লাস চলছিল।