ঢাকা প্রেস নিউজ
যমুনা নদীর তীরে বন্যার ঝুঁকিতে থাকা ৮১ হাজার পরিবারকে ডব্লিউএফপি খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে। এটি ডব্লিউএফপির এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আগাম সহায়তা কর্মসূচি। কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, বগুড়া ও জামালপুর জেলায় এই সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা ৫০ লাখেরও বেশি। ডব্লিউএফপি তাদের অংশীদারদের সাথে মিলে এই সহায়তা প্রদান করছে। ডব্লিউএফপির লক্ষ্য হল বন্যার পানি বৃদ্ধির আগে মানুষকে সহায়তা করা এবং দীর্ঘমেয়াদী ত্রাণের প্রয়োজনীয়তা কমানো। ডব্লিউএফপিকে তাদের ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে তহবিলের ঘাটতি রয়েছে।
ডব্লিউএফপি ইতিমধ্যেই বন্যাকবলিত এলাকার ৮১ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছে। এই সহায়তা কর্মসূচিটি দুটি জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে আরও এক হাজার পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে। ডব্লিউএফপি আশঙ্কা করছে যে যমুনা নদীর পানি বাড়তে থাকলে বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে আরও অনেক মানুষ। তাই তারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের দ্রুত সহায়তা পৌঁছে দিতে কাজ করছে। ডব্লিউএফপির এই আগাম সহায়তা কৌশলের লক্ষ্য হল বন্যার পানি সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানোর আগে মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষা করা, সম্পত্তির ক্ষতি রোধ করা এবং দীর্ঘমেয়াদী ত্রাণের প্রয়োজনীয়তা কমানো। ডব্লিউএফপি তাদের ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে 13.2 মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিলের ঘাটতি রয়েছে। তাই তারা দাতা সম্প্রদায়ের কাছে এগিয়ে আসার এবং তাদের তহবিল সংগ্রহে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।