|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ০৩:৪৭ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:২১ অপরাহ্ণ

আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিশু রাতুলের মৃত্যু


আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিশু রাতুলের মৃত্যু


ঢাকা প্রেস নিউজ


আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিশু রাতুলের মৃত্যু: এক মর্মান্তিক ঘটনা....

বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হওয়া শিশু জুনাইদ ইসলাম রাতুল আর নেই। ৪৯ দিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
 

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে রাতুল। মাত্র ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল এই নিরীহ শিশুটি। বগুড়া উপশহরের পথ পাবলিক স্কুলের ছাত্র রাতুল, ওই এলাকার মুদি দোকানি জিয়াউর রহমানের ছেলে।
 

ঘটনাটি ঘটে ৫ আগস্ট:

গত ৫ আগস্ট সকালে বোন জেরিন সুলতানা ও ভগ্নিপতি আমির হামজার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয় রাতুল। বগুড়া সদর থানার কাছে পুলিশের গুলিতে আহত হয় সে। রাতুলের মাথায় চারটি ছররা গুলি লাগে, এর মধ্যে একটি গুলি বাম চোখের মধ্য দিয়ে মাথায় ঢুকে যায়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায়ও লাগে গুলি।
 

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু:

অজ্ঞান অবস্থায় রাতুলকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নেওয়া হয়। পরে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। মগজের ভেতর থেকে একটি গুলি বের করা হয় এবং কৃত্রিমভাবে শ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসকরা আশঙ্কা করেছিলেন, রাতুল বেঁচে ফিরলেও চিরদিনের জন্য দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
 

একটি নিরীহ শিশুর মৃত্যুতে গোটা দেশ শোকাহত।

রাতুলের মৃত্যুতে সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একটি নিরীহ শিশুকে হারিয়ে পরিবারের দুঃখের সীমা নেই। এই ঘটনা সবার মনে প্রশ্ন তুলেছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের গুলি চালানো কেন?


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫