ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের পর মিয়ানমারে অন্তত আট লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং অন্যান্য সাহায্য প্রয়োজন। জাতিসংঘ গত শুক্রবার (১৯ মে) এ তথ্য দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ এবং প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার (১২০ মাইল) বেগে আঘাত হানে।
মিয়ানমারের জান্তা সরকার ১৪৫ জন নিহত হওয়ার কথা জানালেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায় সংখ্যাটি আরো বেশি।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যজুড়ে এই ঝড়ের কথা বলতে গিয়ে জানায়, এমন একটি অঞ্চলে ঝড় আঘাত হেনেছে যেখানে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর আবাসস্থল। ঘূর্ণিঝড় মোখা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যে এলাকাগুলো দিয়ে গেছে সেখানে সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচি।
ডাব্লিউএফপির এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অ্যান্থিয়া ওয়েব বলেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি মাটিতে মিশে গেছে, উপড়ে পড়া গাছে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে, হাসপাতাল ও স্কুল ধ্বংস হয়ে গেছে আর টেলিযোগাযোগ ও বৈদ্যুতিক লাইনও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত আট লাখসহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুতে পরিণত হওয়া ২১ লাখ মানুষের জরুরি সহায়তার জন্য জাতিসংঘের ছয় কোটি ডলার দরকার বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘সেখানে অন্তত আট লাখ মানুষের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা দরকার।’ তাদের সংস্থা মিয়ানমারের রাখাইন ও চীন রাজ্য এবং মাগউই অঞ্চলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর অন্তত আট লাখ মানুষকে প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য সব ধরনের সহায়তার লক্ষ্য নিয়েছে। এদের প্রায় অর্ধেকই আগে থেকেই উদ্বাস্তুর জীবন যাপন করছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস