বিমানে বিস্ফোরক সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ীতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও কৃষি তথ্য সার্ভিস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, "এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা সংবাদ। কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। মিথ্যা তথ্য যারা ছড়িয়েছে, তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। শনাক্ত হলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর নতুন পোশাক সম্পর্কে তিনি বলেন, "পোশাক পরিবর্তনই সবকিছু নয়। মন ও মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। মনোভাবের পরিবর্তন না হলে কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়।"
তিনি আরও বলেন, "দুর্নীতি আমাদের কমাতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। দুর্নীতি কমাতে পারলে সব কিছু স্বাভাবিক ও সুন্দর হয়ে যাবে।"
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ বিমানের যে ফ্লাইটটি বোমা আতঙ্কের কারণে অবতরণ করেছিল, সেখানে কোনো বিস্ফোরক বা বোমাসাদৃশ্য বস্তু পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, "বিমানটি তল্লাশি করে যাত্রীদের ব্যাগেজ পরীক্ষা করা হয়েছে। কোথাও কোনো বিস্ফোরক দ্রব্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।"
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, বুধবার ভোর ৪টা ৩৭ মিনিটে এয়ারপোর্ট এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপে একটি পাকিস্তানি নম্বর থেকে একটি ‘বোম্ব থ্রেট’ বার্তা আসে। বার্তায় বলা হয়, রোম থেকে ঢাকাগামী বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৫৩৬ ফ্লাইটে ৩৪ কেজি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক রয়েছে।
খবর পেয়ে সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ক্যানাইন ইউনিট যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালায়।
বুধবার সকালে ইতালির রোম থেকে ঢাকায় আসা বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা থাকার সন্দেহে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়। পরে পুরো বিমান পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এটি মিথ্যা তথ্য।
মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সরকার সর্বোচ্চ কঠোরতা প্রদর্শন করবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।