শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ২১ হাজার চাকরিপ্রার্থী
প্রকাশকালঃ
০৭ মে ২০২৩ ০৫:০৩ অপরাহ্ণ ১৫৮ বার পঠিত
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ২১ হাজার চাকরিপ্রার্থী। গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার দুই দিনে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বলছে, চাকরির পরীক্ষা বাধ্যতামূলক কোনো পরীক্ষা নয়, অনেকের চাকরি হয়ে যায়, তাই তাঁরা আর পরীক্ষায় অংশ নেন না।
এনটিআরসিএ সূত্র জানায়, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষাটি আট জেলায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৭৮ হাজার ২৪৩ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও অংশ নেন ৫৭ হাজার ২৭৪ জন। এতে করে অনুপস্থিত ছিলেন ২০ হাজার ৯৬৯ জন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ কর্মরত একজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা কোনো বাধ্যতামূলক পরীক্ষা নয়। অনেকের প্রাথমিকের শিক্ষক পদে চাকরি হয়েছে। আবার অনেকে অন্য চাকরি করছেন। এ কারণে তাঁরা আর পরীক্ষা দেননি।
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় ৭৮ হাজার ২৪৩ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও অংশ নেন ৫৭ হাজার ২৭৪ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ২০ হাজার ৯৬৯ জন।
এর আগে এনটিআরসিএর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্কুল ও স্কুল-২ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা ৫ মে এবং কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা ৬ মে অনুষ্ঠিত হবে। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৬ প্রার্থীকে ঐচ্ছিক বিষয়ে বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এনটিআরসিএর অধীনে গত ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এনটিআরসিএর অধীন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ২০২০-এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল গত ২২ ফেব্রুয়ারি এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এ পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৬ জন। এর মধ্যে স্কুল-২ পর্যায়ে ১৫ হাজার ৩৭৯ জন, স্কুল পর্যায়ে ৬২ হাজার ৮৬৪ জন ও কলেজ পর্যায়ে ৭৩ হাজার ১৯৩ জন। পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ২৪ দশমিক ৮৯।
২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এনটিআরসিএর অধীনে গত ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় স্কুল-২, স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে মোট ১১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৭৮ পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। পরীক্ষায় অংশ নেন ৬ লাখ ৮ হাজার ৪৯২ জন। এর মধ্যে স্কুল-২ পর্যায়ের পরীক্ষার্থী ৯০ হাজার ১৯১ জন, স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষার্থী ৩ লাখ ২ হাজার ৪২২ জন ও কলেজ পর্যায়ে পরীক্ষার্থী ছিলেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৮৭৯ জন।