রোদে কখন পোহাবেন এবং কেনো?

সকালে রোদ পোহালে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। আর ভিটামিন ডি হাড়ের গড়নে অনেক জরুরি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সকালের পুরো সময়-জুড়ে তো আর ভিটামিন ডি পাওয়া যায় না।
অনেকে অবশ্য এ ব্যাপারে জানেনও না। তারা রোদের নিচে দাঁড়ান, উপকার পেলে তো ভালো ভেবেই থাকেন। কিন্তু আজকাল ব্যস্ত এই সময়ে আপনার এত সময় নেই। রুটিনবদ্ধ জীবন যাদের তাদের পরিকল্পনা গড়ে নিতে হয়। এই পরিকল্পনা গড়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমেই ভাবতে হয় অনেক কিছু। যারা সকালে ভিটামিন ডি এর জন্য রোদ পোহাতে চান তাদের জেনে নেওয়া ভালো কোন সময় ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞানের অধ্যাপক নাজমা শাহীন জানান, ঋতুভেদে রোদের তীব্রতা একেক রকম হয়। শীতকালে রোদ যেভাবে পড়ে গ্রীষ্মে সেভাবে থাকে না। বর্ষাতেও হয় আলাদা। তবে রোদের একটি প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য ঠিকই রয়েছে। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত রোদে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।
তবে এখানে একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। একেক সময় রোদের তীব্রতা আমাদের শরীরের ক্ষতি করে। তাই এই সময়ের মধ্যে কখন ভিটামিন ডি পাবেন তা বুঝবেন কিভাবে? যখন বাইরে বের হবেন তখন আপনার ছায়ার দিকে তাকান। আপনার ছায়া যদি রোদের আড়ালে ছোট দেখায় তাহলে ধরে নিতে হবে ভিটামিন ডি পাবেন।
কতক্ষণ থাকবেন রোদে?
এবার মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। কিভাবে বুঝবেন রোদের ভিটামিন আপনি পাবেন তা নিয়ে তো কথা হলো। কিন্তু রোদ পোহানোর সময়টাও জানা জরুরি। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের শরীর শ্যামবর্ণ। এই ধরনের ত্বকে মেলানিন নামক উপাদান থাকায় সূর্যের আলো শোষণে বাধা দেয়। আবার সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিও ত্বকে প্রবেশ করে না। তাদের একটু বেশিক্ষণ থাকতে হবে। তবে উজ্জ্বল রঙ যাদের তাদের ২০ মিনিট থাকলেই হলো।
কড়া রোদে অবশ্যই বের হবেন না। আর রোদ পোহানোর সময় সানস্ক্রিন মাখবেন না। আলতো রোদে ত্বকের ক্ষতি হয় না। ২০ মিনিটের মধ্যে রোদ অসহনীয় হলে আর যদি ভ্যাপসা পরিবেশ থাকে তাহলে এড়িয়ে চলুন। স্নিগ্ধ রোদেই আপনার কাঙ্ক্ষিত ভিটামিন ডি মিলবে।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫