ঢাকা প্রেস
সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা থেকেঃ--
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অতিতের যে কোন সময়ের তুলনায় শব্দ দুষন বেড়েই চলেছে। যাচ্ছে তাই ভাবে মাইক ব্যবহারের ফলে শব্দ দূষণে ধুঁকছে শহরবাসী।
পাশাপাশি উচ্চ আওয়াজের কারণে শিশু, বয়স্ক ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব অব্যবস্থা চললেও প্রশাসনের কোন মাথাব্যথা নেই।
অথচ দেশে শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা থাকলেও বিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ অবস্থায় শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে মাইকে যথেচ্ছ ব্যবহারের প্রবণতা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সূত্রমতে, শহরে দিন-রাতে শোক সংবাদ, সুখবর-ডাক্তার রোগী দেখছে, পণ্য বিক্রি, বিভিন্ন ধর্মীয় ওয়াজ-অনুষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, ধর্মীয় কাজে দান সংগ্রহ, রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সভা-সমাবেশে উচ্চ শব্দে মাইক ব্যবহার হচ্ছে।
এমনকি প্রচার চালানো হয় অনুষ্ঠানস্থল ছাড়াও বাইরে জনাকীর্ণ বাজার ও আবাসিক এলাকায় বহুসংখ্যক মাইক টাঙিয়ে। উচ্চ হর্ণের এসব মাইকের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। অথচ শব্দ দূষণের যন্ত্রণা লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোনো উদ্যোগ। শহরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও স্কুলছাত্রীর অভিভাবকরা ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, প্রায় প্রতিদিনই উচ্চ শব্দের মাইক ব্যবহারের ফলে তাদের সন্তানসহ প্রতিটি শিক্ষার্থী পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না। তাদের শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে ডাক্তার রোগী দেখবেন,ভর্তি চলছে, নামে চলছে বেশি নৈরাজ্য। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলা এসব প্রচারণা ও অনুষ্ঠান জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে।
জনৈক্য শিক্ষক বলেন দিন দিন শব্দের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
আমরা এর কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। এজন্য জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিতে হবে। শব্দ দূষণ বন্ধে উদ্যোগ নিতে পারে পৌরসভা। বিশেষ করে মাইক ব্যবহারের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সচেতন করার পদক্ষেপ নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া মাইক ভাড়ার ব্যাপারে বিধি নিষেধ আরোপ করলে ফল পাওয়া যাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
সাংবাদিক নেতারা জানান, মাইক ব্যবহারে অনুমতির বিধান থাকলেও কেউ অনুমতি নেন না। শহরে মাইক ব্যবহারে নৈরাজ্য চলছে। এজন্য সামাজিক আন্দোলন এবং প্রশাসনের আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পলাশবাড়ী হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক জানান,শব্দ দূষণের কারণে মানুষের শ্রবণশক্তি কমে যায়। হূদরোগীদের ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেয় উচ্চমাত্রায় শব্দ। অনেক সময় মানুষের মস্তিষ্কে আঘাত হানে যা থেকে ব্রেন হ্যামারেজের শিকার হতে পারেন যে কোনো মানুষ।
পৌরবাসী অতিরিক্ত শব্দদুষন বন্ধে পৌর প্রশাসক,থানার অফিসার ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।