|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১২ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৪০ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১১ জুন ২০২৩ ০৬:১৪ অপরাহ্ণ

জামায়াত নিষিদ্ধ দল নয়, তাই সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বলেছেন তথ্যমন্ত্রী


জামায়াত নিষিদ্ধ দল নয়, তাই সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বলেছেন তথ্যমন্ত্রী


জামায়াত যেহেতু নিষিদ্ধ দল নয়, তাই তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তবে তারা যে বক্তব্য দিয়েছে, সেগুলো বিএনপিরও বক্তব্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আজ রোববার সচিবালয়ে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল শনিবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াত এখনো যেহেতু নিষিদ্ধ হয়নি, রাজনৈতিক দল হিসেবে আবেদন করেছে, সে জন্য তাদেরকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে গতকাল তাদের সমাবেশ থেকে আস্ফালন করে যেভাবে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, এগুলো আসলে বিএনপিরই বক্তব্য। ২০১৪ সালে তারা যেভাবে নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে শত শত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, সেটারই ইঙ্গিত তারা দিয়েছে। বিএনপি জোটের প্রধান শরিক জামায়াতকে দিয়ে তারা এই কথাগুলো বলিয়েছে। তাদেরকে সুযোগ দিলে তারা কী করতে পারে, সেটি তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়েছে।’


এর আগে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১১ জুন একটি ঐতিহাসিক দিন। ২০০৮ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেছেন। এই দিনটি শুধু ব্যক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি দিবস নয়, গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস।’

কারাবন্দী নেতাদের মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন দাবিতে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতাকর্মীরা সমাবেশ সমাবেশ করে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, ঢাকা ১০ জুন

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু : জুলিও কুরি ও এশীয় শান্তি সম্মেলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ, পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, সহযোগী সম্পাদক এ কে এম শামসুদ্দিন, গ্রন্থকার ও গবেষক পপি দেবী থাপা প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


‘সেনাসমর্থিত সেই সরকার (তত্ত্বাবধায়ক) দুর্নীতি–দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে ক্ষমতা দখল করলেও নিজেরাই দুর্নীতি, অপশাসনে লিপ্ত হয়েছিল এবং তখন তাদের বিরুদ্ধে সাহস করে কেউ কথা বলেনি, জননেত্রী শেখ হাসিনাই সাহস করে কথা বলেছেন’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সে কারণে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুখ স্তব্ধ করার জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। এরপর তারা বুঝতে পেরেছিল, মুক্ত শেখ হাসিনার চেয়ে বন্দী শেখ হাসিনা কম শক্তিশালী নন, বরং অনেক ক্ষেত্রে অনেক বেশি শক্তিশালী। কারণ, আমাদের দলের নেতা–কর্মীরা সেই সময়কার সরকারের বিরুদ্ধে যেভাবে রাজপথে নেমেছিল, সোচ্চার হয়েছিল, সে কারণেই তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, আজকের এই দিনটি ব্যক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি দিবস শুধু নয়, গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস এবং এই দিনে জননেত্রীর প্রতি অভিনন্দন, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। একই সঙ্গে যাঁরা জননেত্রীর মুক্তি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের প্রতি অভিনন্দন।

মোড়ক উন্মোচিত ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু: জুলিও কুরি ও এশীয় শান্তি সম্মেলন’ গ্রন্থটি প্রকাশের জন্য  তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী পিআইবিকে ধন্যবাদ জানান।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫