গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস জানান, বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে তিনজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, সংঘর্ষে আহত হয়ে আরও ৯ জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের অস্ত্রোপচার চলছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অজ্ঞাতপরিচয় নিহত ব্যক্তির মরদেহ তার স্বজনরা চুপিসারে নিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।
এদিকে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় গোপালগঞ্জ শহরে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে সরকার। বুধবার সন্ধ্যায় সরকারিভাবে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাত ৮টা থেকে পরদিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এর আগে বিকেলে এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে দলটির গাড়িবহর শহর ত্যাগের সময় হামলার মুখে পড়ে। মুহূর্তেই পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন শহরের বিভিন্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করে।
পরে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে কয়েক ঘণ্টা অবস্থানের পর সেনাবাহিনীর একটি সাঁজোয়া যানযোগে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।