প্রকাশকালঃ
১৭ জুলাই ২০২৩ ০৫:৪৩ অপরাহ্ণ ১৬৬ বার পঠিত
ঢাকা–১৭ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে দিনভর ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। চারটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোট শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে এসব কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১৪ শতাংশ। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করলেও তা হয়নি।
ঢাকা-১৭ আসনের মানিকদী এলাকায় অবস্থিত ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আদর্শ বিদ্যানিকেতন। এই প্রতিষ্ঠানে মোট চারটি কেন্দ্র। দুটি নারী কেন্দ্র ও দুটি পুরুষ কেন্দ্র। ভোটকক্ষ ২২টি। এই চার কেন্দ্রে মোট ভোটার ১১ হাজার ৯৭০।
আজ সোমবার সকাল ৮টায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট শুরুর পর প্রথম চার ঘণ্টায় এই চার কেন্দ্রে ভোট পড়ে ৯৫৩টি। ভোট পড়ার হার ছিল ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে এই চার কেন্দ্র থেকে তথ্য নিয়ে দেখা যায়, মোট ভোট পড়েছে ১ হাজার ৭২২টি। ভোটের হার ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ৷
কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, এই কেন্দ্রগুলোতে সারা দিন ভোটারদের কোনো লাইন ছিল না। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা অলস বসে ছিলেন। হঠাৎ দু-একজন ভোটার এসেছেন। বিশেষ করে, নারী ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম ছিল। এমন উপস্থিতি নিয়ে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরাও হতাশা প্রকাশ করেন।
একটি নারীকেন্দ্রের ১ নম্বর কক্ষে প্রথম চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৪১টি। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কাজী ইমরান বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম। এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৩৭৫টি। এই কেন্দ্রে ভোটার আছেন ২ হাজার ৯৮৫ জন।
এই উপনির্বাচনে নারীদের তুলনায় পুরুষ ভোটার উপস্থিতি বেশি। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আদর্শ বিদ্যানিকেতনের পুরুষ কেন্দ্র দুটির একটিতে ভোটার ৩ হাজার ২১ ও আরেকটিতে ৩ হাজার ১০। এই দুই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৬২৬ ও ৪৮৩টি। একটি কক্ষে সর্বোচ্চ ১৩৮টি ভোট পড়েছে।
একটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ওয়ালিউজ্জামান বলেন, ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম। ২০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।
ঢাকা–১৭ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৬০৫টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আটজন প্রার্থী। বিএনপি এই উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীও নেই৷
শুরু থেকেই এই উপনির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ কম। তবে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা আশা করেছিলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। কিন্তু দুপুর হয়ে গেলেও অধিকাংশ কেন্দ্রেই ভোটার নেই বললেই চলে। ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল ৪টায়। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ধারণা, ভোটের হার ২০ শতাংশের আশপাশে হবে।