মানিলন্ডারিং মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়ার চার বছরের কারাদণ্ড

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৫ মে ২০২৫ ০৪:১৯ অপরাহ্ণ   |   ৮৯ বার পঠিত
মানিলন্ডারিং মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়ার চার বছরের কারাদণ্ড

ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-

 

মানি লন্ডারিং মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে।
 

রবিবার (তারিখ উল্লেখ নেই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। তবে মামলার অপর আসামিরা—পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর এবং জুবায়ের আলম—আসামিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন। জুবায়ের আলম শুরু থেকেই পলাতক থাকলেও বাকি তিন আসামি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
 

পাপিয়া বর্তমানে উচ্চ আদালত থেকে অন্যান্য মামলায় জামিনে রয়েছেন। অসুস্থতার কারণে রায়ের দিনে তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া সময় চেয়ে আবেদন করলেও আদালত তা নামঞ্জুর করে রায় ঘোষণা করেন।
 

গ্রেপ্তার ও উদ্ধার হওয়া আলামত.....

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাপিয়াসহ চারজনকে আটক করে র‍্যাব। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়:

  • সাতটি পাসপোর্ট

  • বাংলাদেশি নগদ টাকা: ২,১২,২৭০ টাকা

  • জাল টাকা: ২৫,৬০০ টাকা

  • ৩১০ ভারতীয় রুপি

  • ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা

  • ১১,০৯১ মার্কিন ডলার

  • সাতটি মোবাইল ফোন
     

পরদিন, ২৩ ফেব্রুয়ারি, পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে র‍্যাব আরও উদ্ধার করে:

  • একটি বিদেশি পিস্তল ও দুটি ম্যাগাজিন

  • ২০ রাউন্ড গুলি

  • পাঁচ বোতল বিদেশি মদ

  • নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা

  • পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেকবই

  • বিভিন্ন দেশের মুদ্রা

  • ১০টি ব্যাংকের এটিএম কার্ড
     

মামলা ও বিচার প্রক্রিয়া......

এই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।

  • শেরেবাংলা নগর থানায়: মাদক ও অস্ত্র মামলা

  • গুলশান থানায়: মানি লন্ডারিং মামলা

  • বিমানবন্দর থানায়: বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা

  • দুদক: অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা
     

২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন অর্থপাচার মামলায় পাপিয়াসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০২২ সালের ২১ আগস্ট আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন এবং ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
 

বিতর্কিত জীবন ও বহিষ্কার.....

পাপিয়া ঢাকার অভিজাত হোটেলগুলোতে বিলাসবহুল কক্ষ ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে তদন্তে উঠে আসে। এ ঘটনার পর তাকে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।