মৃত ব্যক্তির জীবদ্দশায় করা এমন কিছু আমল আছে, যা জীবিত অবস্থায় করেছিল, মৃত্যুর পরও তার সওয়াব তার আমলনামায় যোগ হতে থাকে। এমন কিছু আমল নিম্নে উল্লেখ করা হলো :
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন কোনো মানুষ মারা যায়, তখন তার তিনটি আমল ছাড়া সব আমল বন্ধ হয়ে যায় : (১) সদকা জারিয়া, (২) উপকারী জ্ঞান এবং (৩) সৎ সন্তান- যে তার জন্য দোয়া করে। (মুসলিম, হাদিস : ৪১১৫)
কোনো কোনো হাদিসে সদকা জারিয়া বা প্রবহমান দানকে আরো ব্যাপকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মৃত্যুর পর কবরে থাকা অবস্থায় বান্দার সাতটি আমল চলমান থাকে।
(১) দ্বিনি ইলম শিক্ষা দান করা, (২) নদী-নালা প্রবাহিত করা, (৩) কূপ খনন করা, (৪) খেজুর তথা ফলবান বৃক্ষ রোপণ করা, (৫) মসজিদ নির্মাণ করা, (৬) এমন সন্তান রেখে যাওয়া, যে পিতার মৃত্যুর পর তাঁর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, (৭) কোরআন বিতরণ করা বা কোরআনের ওয়ারিশ রেখে যাওয়া। (সহিহুল জামে, হাদিস : ৩৬০২)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, চারটি বিষয়ের সওয়াবপ্রাপ্তি মানুষের মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকে। ১. আল্লাহর রাস্তায় সীমান্ত প্রহরা; ২. ব্যক্তির এমন (মাসনুন) আমল, যা অন্যরাও অনুসরণ করে; ৩. এমন দান, যা
সে স্থায়ীভাবে চলমান রেখে গেছে; ৪. এমন নেক সন্তান রেখে যাওয়া যে তার জন্য দোয়া করে।’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ২২)
প্রখ্যাত তাবেঈ আতা বিন রাবাহ ((রহ.) বলেন, ‘মৃতের পক্ষ থেকে চারটি কাজ করণীয় : গোলাম আজাদ করা (যদি থাকে), দান-সদকা করা, হজ করা এবং ওমরাও করা’
(মুছান্নাফে ইবনু আবি শায়বাহ, হাদিস : ১২০৮৫)
উল্লেখ্য যে, সৎ সন্তান দোয়া না করলেও তার সৎকর্মের সওয়াব পিতা-মাতা পাবেন বলে একদল বিদ্বান উপরোক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় অভিমত ব্যক্ত করেছেন। (আহকামুল জানায়েজ ১/৭৬)