ঢাকা প্রেস নিউজ
দেশজুড়ে এটিএম বুথ বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের জীবন যাতনায় পড়েছে। নগদ টাকার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তা উদ্বেগ ও নানা জটিলতার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
মূল কারণ:
নিরাপত্তা উদ্বেগ: দেশের চলমান অস্থির পরিস্থিতির কারণে ব্যাংক ও এটিএমগুলো নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে। ফলে, নগদ টাকা পরিবহন ও এটিএম পূরণের কাজ ব্যাহত হয়েছে।
তৃতীয় পক্ষের সেবা বন্ধ: দেশের বেশিরভাগ এটিএমে নগদ সরবরাহের কাজ তৃতীয় পক্ষের প্রতিষ্ঠান করে। তাদের সেবা বন্ধ থাকায় এটিএমগুলো নগদহীন হয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নগদ সরবরাহ কম: চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নগদ টাকা পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রভাব:
নিত্যদিনের জীবন যাতনা: সাধারণ মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেবা গ্রহণে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত: নগদ টাকার অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব: এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত:
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী সেলিম আর এফ হোসেন মনে করেন, চলমান পরিস্থিতি উন্নতি হলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
এটিএম বন্ধ থাকায় সৃষ্ট নগদ সংকট দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা জরুরি।