ঢাকা প্রেস নিউজ:-
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ১৪ নং নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নে জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্ট কার্ড বিতরণের শেষ দিন,বাখরনগর হাশেমীয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় (কেন্দ্রীয় ঈদ মাঠ) হাজারো মানুষের জন্য উপস্থিতিতে এক উতসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়,সকাল ৯ টা থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সঙ্গত কারণে সঠিক সময়ে কার্যক্রম শুরু করতে না পারার কারণে,সিরিয়াল অটো কেন নিতে সাধারণ মানুষের মাঝে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়,এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্মার্ট কার্ড নিতে আশা উৎসব মূখর ব্যক্তিদের মধ্যে কথা কাটাকাটি এমনকি একজন অন্যজনের সাথে হাতাহাতির একাধিক ঘটনার সৃষ্টি হয়,এর ফলে সবার মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এই সময় একাধিক নারী ও পুরুষ মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে,তাদেরকে উপস্থিত থাকা স্বেচ্ছাসেবীরা মাথায় পানি দিয়ে সাময়িক সেবা প্রদান করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন,অসুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নারীর অবস্থা আশঙ্কা জনক,একজন নারীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেলেও বিভিন্ন সূত্রের সাথে যোগাযোগ করে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্মার্ট কার্ড নিতে আসা উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি ঢাকা প্রেসকে বলেন এখানে কোন নিয়ম নীতি নাই কোন সিরিয়াল নাই,যে যার মত করে ক্ষমতা দেখিয়ে এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে,ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকার এক প্রশ্নের জবাবে একজন বলেন আমাদের ইউনিয়নের খায়ের চেয়ারম্যান কে অবগত করা হয়েছে।
পরবর্তীতে নিয়ম-নীতি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১৪ নং নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী আবুল খায়ের মুরাদনগর থানা পুলিশ ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং স্বেচ্ছাসেবীদের কে নিয়ে নতুন লাইন ও বুথ চালু করার মাধ্যমে একটি সুন্দর ও সুশৃংখল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
১৪ নং নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আবুল খায়ের সবার উদ্দেশ্যে বলেন কেউ কোন চিন্তা করার প্রয়োজন নেই এখানে স্মার্ট কার্ড দাঁড়ি ব্যক্তিদের উপস্থিতি যতক্ষণ থাকবে ততটা সময় পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড দিবে,আপনারা সবাই সুশৃংখলভাবে নিয়ম-নীতির মধ্যে থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদেরকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে সহযোগিতা করেন,এর ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের সকল প্রয়োজনীয় কাজ সম্পূর্ণ করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনাদের মাঝে সেবা প্রধান (স্মার্ট কার্ড) বিতরণ সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হবে।
অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি এবং সীমিত সময়ের মধ্যে কার্ড বিতরণের চাপ পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলে। ভিড়কে সামলাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় মানুষের মধ্যে অসন্তোষ ও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে কাজ করার মতো সচেতনতার অভাব।
ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে পূর্ব পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। কার্ড বিতরণের আগে ভিড়কে সামলাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।ভিড়কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা।মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে কাজ করার বিষয়ে সচেতন করা।কার্ড বিতরণের জন্য একাধিক কেন্দ্র স্থাপন করে ভিড়কে বিভক্ত করা।সম্ভব হলে অনলাইনে কার্ড বিতরণের ব্যবস্থা করা।
এই ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে সচেষ্ট হতে হবে। সরকার ও প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও এ বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।