মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল ক্যাম্পাস

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ   |   ৬৫ বার পঠিত
মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল ক্যাম্পাস

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাস গভীর রাতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে, যখন ছাত্রলীগের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকারী ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমির কনডেম সেল থেকে পলায়নের খবর প্রকাশ পায়। হত্যাকারী জেমির গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠেন।
 

সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা বুয়েটের শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন, যা পলাশী মোড়, ভিসি চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে সমাবেশে রূপ নেয়। সেখানে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ‘ফাঁসির দড়ি ঝুলাই দে, সব খুনিদের গর্দানে’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই’, ‘আবরার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে রাজপথ।

 

সূত্র জানায়, আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেমি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন। মামলার ৩ নম্বর আসামি জেমি গত ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক দিন পর পলায়ন করেন। তবে বিষয়টি এতদিন গোপন রাখা হয়েছিল। জেমির বাড়ি ময়মনসিংহে।
 

এ প্রসঙ্গে কারা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. জান্নাত-উল ফরহাদ জানান, এ ঘটনায় ৬ আগস্ট কারা অধিদপ্তর কোনাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছে।

 

সোমবার সন্ধ্যায় জেমির পালানোর ঘটনা ফেসবুকে প্রকাশ করেন আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। তিনি লিখেন, ‘আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি জেল থেকে পালিয়েছে ৫ আগস্টের পর। অথচ আমাদের জানানো হলো আজ, যখন ওর আইনজীবী কোনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে আসেননি।’
 

তিনি আরও বলেন, ‘ফাঁসির আসামির তো কনডেম সেলে থাকার কথা ছিল, সে পালাল কীভাবে? পালানোর পরও এতদিন তথ্য গোপন রাখা হয়েছে, যা প্রমাণ করে যে, তাকে ধরার কোনো চেষ্টা করা হয়নি। বরং পূর্ব থেকেই আরও তিনজন আসামি পলাতক।’

 

শিক্ষার্থীরা এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত জেমিকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসনের গাফিলতির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেছেন, "এটি শুধু একটি কারাগার থেকে পালানোর ঘটনা নয়, এটি বিচার ব্যবস্থার প্রতি বড় ধরনের অবমাননা।"
 

বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, যতক্ষণ না পলাতক আসামিকে আইনের আওতায় আনা হয়।