প্রকাশকালঃ
০১ জুন ২০২৪ ১১:০১ পূর্বাহ্ণ ৫৩০ বার পঠিত
চিয়া সিডকে বলা হয় সুপারফুড। চিয়া সিড প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি ফ্যাসিড, ভিটামিন সি ও ই এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ১০০ গ্রাম চিয়া বীজে প্রায় ১৬.৫ গ্রামের মতো প্রোটিন থাকে। ওজন কমাতে কমবেশি অনেকেই চিয়া সিড খেয়ে থাকেন। তবে শুধু ওজন কমিয়ে ফিট হলেই তো হয় না। সঙ্গে চাই ঝকঝকে সুন্দর ত্বক। জানেন কী ওজন ঝরানোর পাশপাশি চিয়া সিড কিন্তু যত্ন নেয় আপনার ত্বকে
শুষ্ক রুক্ষ ত্বকে জলীয় ভাব ফিরিয়ে আনতে চিয়া সিডের তুলনা হয় না। এক চা চামচ চিয়া সিড সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে এই জেলি ত্বকে লাগালে ত্বক ভেতর থেকে সতেজ ও ঝলমলে হয়ে উঠবে।
চিয়া সিডে থাকা ভিটামিন ই রোদেপোড়া ত্বকের দাগছোপ দূর করে। সূর্যের নানারকম ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাবে ত্বকে র্যাশ, লালচে ভাব ও জ্বালার অনুভূতি হয়। চড়া রোদে ত্বকে যে কালচে ভাব দেখা দেয় তা কমাতে চিয়া সিডের জুড়ি মেলা ভার।
চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। চিয়া সিডের জেল নিয়মিত লাগালে ত্বকের প্রয়োজনীয় উৎসেচক যেমন কোলাজেন, হায়ালুরনিডেজ এবং ইলাস্টেজ তৈরি হয়। এতে চামড়া ও কোষ মজবুত ও টানটান হয়। বলিরেখা আটকায়।
চিয়া সিডে থাকা আলফা লিনোলেয়িক অ্যাসিড বাইরের ধুলোময়লা থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। চিয়া সিডের নির্যাসে থাকে ভিটামিন এফ, যা ভেতর থেকে ত্বককে সুস্থ ও সতেজ রাখবে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন চিয়া সিড সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরেরদিন এর সঙ্গে মধু বা দই মিশিয়ে ভালো করে মুখে ও হাতে মেখে নিন। ত্বকের যেখানে যেখানে রোদে পোড়া দাগ রয়েছে, সেখানে ভালো করে এই মিশ্রণ লাগান। এছাড়াও ভেজানো চিয়া সিডে কলা চটকে নরম করে সেই মিশ্রণও লাগাতে পারেন। চিয়া সিডের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে ভালো স্ক্রাব তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণ লাগালে ত্বকের মৃত কোষ, ধুলোময়লা দুর হবে। অ্যালোভেরায় সমস্যা না থাকলে ভেজানো চিয়া বীজের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে ত্বকের জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ কমবে। চোখের নীচের কালি তুলতেও চিয়া বীজ ব্যবহার করা যেতে পারে। এজন্য ভেজানো চিয়া বীজের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এতেও উপকার পাবেন।