বিষখালী নদীর ভাঙন রোধে সিসি ব্লক চায় ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রাণ নয়

প্রকাশকালঃ ১৪ জুন ২০২৩ ০৩:৪৫ অপরাহ্ণ ১৬৭ বার পঠিত
বিষখালী নদীর ভাঙন রোধে সিসি ব্লক চায় ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রাণ নয়

প্রতিবছর ঝড় জলোচ্ছ্বাসে আমরা তলিয়ে যাই। বিষখালী কেড়ে নেয় আবাদি জমি, বসতঘরসহ সহায়-সম্বল সবটুকু। ইতিমধ্যে বিষখালীর করাল গ্রাসে বহু পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামান্য সহায়তা নিয়ে আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়।

আমরা এই সহায়তা চাই না। আমরা চাই বেড়িবাঁধে সিসি ব্লক। নইলে অব্যাহত ভাঙনে যেটুকু সম্বল অবশিষ্ট আছে সেটিও হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবো। 

বরগুনার বামনা উপজেলার উত্তর রামনা গ্রামে ভাঙনকবলিত বিষখালী নদী তীরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তারা এই কথাগুলো বলেন।


বুধবার (১৪ জুন) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে রামনা ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকার প্রায় সহস্রাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন এ মানববন্ধনে অংশ নেন। 

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রামনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জমাদ্দার, বামনা প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কবির আকন্দ দুলাল, বামনা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. রিয়াদুল কাদিরসহ স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। 

জানা গেছে, প্রায় দুই যুগ ধরে বিষখালী নদীর অব্যাহত ভাঙনে উত্তর রামনা গ্রামের শতাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গত ২০-২১ অর্থবছরে এখানের ভাঙনরোধে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তাতে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না।


এখানের অব্যাহত ভাঙনে বিলীনের পথে রামনা হয়ে বরগুনা জেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি। দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এই সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, উত্তর রামনা গ্রামের ভাঙনকবলিত এলাকাটি আমি পরিদর্শন করেছি। ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে শিগগিরই কাজ শুরু হবে।

তবে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে এখানে ভাঙন রোধে অস্থায়ী কিছু কাজ করা হবে।