|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৫৪ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৪:৩৫ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারে নদী, বনভূমি ও সমুদ্রসৈকত দখল-দূষণমুক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা


কক্সবাজারে নদী, বনভূমি ও সমুদ্রসৈকত দখল-দূষণমুক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা


কক্সবাজার প্রতিনিধি:-
 


কক্সবাজারের পরিবেশ সংরক্ষণে জোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, কক্সবাজারের নদী, বনভূমি এবং সমুদ্রসৈকতকে দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে। পাশাপাশি, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের নির্মাণকাজ বরদাস্ত করা হবে না।
 

বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের বাকখালী নদীর দখল ও দূষণ পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি জানান, বিভিন্ন সংস্থার অধীনে থাকা কক্সবাজারের প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি বন বিভাগের আওতায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে ৭০০ একর বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে।
 

তিনি আরও জানান, এক ব্যক্তি ১৫০ একর বনভূমিতে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করছিলেন, যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফুটবল একাডেমির জন্য বরাদ্দকৃত ২০ একর জমি ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, এবং জেলা প্রশাসককে ৫১ একর জমি উদ্ধারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার জন্য বরাদ্দ দেওয়া জমি বন বিভাগের আওতায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
 

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “যদি এখনই সি-বিচ দখল ও দূষণ রোধ করা না যায়, তবে এটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দখলে চলে যাবে। আমরা তা কখনোই হতে দেব না। আইন লঙ্ঘন হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
 

পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাজমুল আহসান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন, চট্টগ্রাম বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম এবং কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫