চায়ের দেশ খ্যাত সিলেট নগরী এখন যেন দ্বীপাঞ্চল। গত ১৫ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৪৮ মিলিমিটার। রাতভর মুষল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগরীর বেশির ভাগ এলাকা। বাসাবাড়ি-দোকানপাট ও রাস্তাঘাটে পানিতে ডুবে যাওয়ায় দুর্ভোগের শেষ নেই বাসিন্দাদের। অনেকের রান্না ঘর প্লাবিত হওয়ায় জ্বলছে না চুলা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সময় মতো সুরমা নদী খনন, শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি না করায় এই হাল।
এদিকে রোববার সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে থাকলেও টানা বৃষ্টির কারণে আজ সোমবার সকাল থেকে সেটি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত গত ১৫ ঘণ্টায় সিলেটে ২৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এরই মধ্যে সিলেটের দুটি আশ্রয় কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছেন পাঁচশোর বেশি মানুষ। সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, সিলেটে আগামী দুই দিন অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের বা ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
মেঘালয়ের ভারি বৃষ্টির ঢল আছড়ে পড়েছে হাওর জেলা সুনামগঞ্জেও। তলিয়ে গেছে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক। ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার। এছাড়াও খরচার হাওরের বাঁধ ভেঙে রূপসা নদীর পানি বেড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বিলীন অর্ধশতাধিক বাড়িঘর। আবহাওয়া অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত বাড়লে এপাড়ে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।