দ্রুততম সময়ে নামজারী দিয়ে জেলায় প্রথম আড়াইহাজার উপজেলা
প্রকাশকালঃ
০৬ মে ২০২৩ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ ১৩৩ বার পঠিত
আড়াইহাজারে নামজারীতে কমেছে দীর্ঘসূত্রিতা। দ্রুততম সময়ে নামজারী দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রথম হয়েছে আড়াইহাজার উপজেলার সহকারী কমিশনার ভুমি অফিস।
জানা গেছে, মাত্র ১১ দিনে নামজারী হচ্ছে। হতবাক হয়েছেন সেবা গ্রহীতারা। ভূমি সেবার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে আড়াইহাজার উপজেলায়। ১০টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত আড়াইহাজার উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ঘটনাটি জেলায় নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
সহকারী কমিশনার ভুমি অফিস সুত্রে জানা গেছে, আড়াইহাজারে ২০২২ সালের জুলাই মাসে একটি নামজারী নিষ্পত্তি হতে গড়ে সময় লাগতো ৬৪ দিন। আগস্টে ৪৫, অক্টোবরে ৩২, নভেম্বর-ডিসেম্বরে ১৬, জানুয়ারি, ২০২৩ এ ১৫, ফেব্রুয়ারী -মার্চ এ ১৪ এবং এপ্রিল এ ১১ দিন।
আড়াইহাজারে ভূমি সেবার ক্ষেত্রে এসেছে আমূল পরিবর্তন। ই-নামজারী, মিস মোকদ্দমা ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানসহ ভূমি বিষয়ক সেবাগুলো দ্রুত এবং হয়রানি মুক্ত পরিবেশে প্রদান করা হচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন মনিটরিং সেলের ভূমি বিষয়ক সেন্ট্রাল ডাটাবেইজ এর তথ্য অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে আড়াইহাজার উপজেলা সবচেয়ে কম সময়ের (মাত্র ১১দিন) মধ্যে নামজারী দিচ্ছে।
এছাড়া দ্রুত সময়ে মিস মোকদ্দমা নিষ্পত্তি, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, খাস জমি ব্যবস্থাপনা, আশ্রয়ন প্রকল্প সংক্রান্ত কার্যক্রম স্বচ্ছতার সাথে সম্পাদন করা হচ্ছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৯.৯০৫০ একর খাস জমি অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) পান্না আক্তার বলেন, ভূমিসেবাকে সহজীকরণ এবং জনবান্ধব করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) স্যার এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দশনায় উপজেলা ভূমি অফিস, আড়াইহাজার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে সেবার মান উন্নয়নে ভূমিসেবাকে ডিজিটাইজেশনের বিকল্প নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল ভূমিসেবা থেকে স্মার্ট ভূমিসেবা রূপান্তরে আমরা বদ্ধ পরিকর।
তিনি আরো বলেন, ভূমিসেবা ডিজিটাল, বদলে যাচ্ছে দিনকাল" শোøগানকে ধারণ করে ভূমি মন্ত্রণালয় ভূমি সেবাকে ডিজিটাইজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। সেটিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে ডিজিটাল ভূমি সেবা থেকে স্মার্ট ভূমি সেবায় রূপান্তরের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে। ডিজিটাল ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা উদ্ভাবন এবং বাস্তবায়নের জন্য গতবছরের ৩১ মে ভূমি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ কর্তৃক পুরস্কার লাভ করে।