|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২০ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৪৬ অপরাহ্ণ

লাকসামে সরকারি  খালের মাটি হরিলুট


লাকসামে সরকারি  খালের মাটি হরিলুট


ঢাকা প্রেস,কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা প্রতিনিধ:-


লাকসাম উপজেলার অশ্বদিয়া সরকারি খালের মাটি হরিলুট করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৪-৫ টি ভেকুর দিয়ে মাটি তুলে সেই মাটি ট্রাক্টরের মাধ্যমে হরিলুট করছে স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। মহলটি দিনরাতে সমান তালে খাল খননের মাটি লুট করে বিক্রি করছে। 

 


উপজেলার বাকই দক্ষিণ ইউনিয়ন অশ্বদিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিজরা-নোয়াপাড়া সরকারি খাল পাড়ের মাটি কেটে কৃষি জমিতে বড় বড় মাটির স্তূপ তৈরি করা রয়েছে। ঠাৎ দেখে মনে হবে জমির ও খালের পাড় ছোট পাহাড় রয়েছে, জানা গেছে- সেই মাটিগুলো সরকারি অর্থায়নে গত দুই বছর পূর্বে খাল খননের মাটি। গত চারদিন ধরে খালের মাটিগুলো হরিলুটের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রামে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৪-৫ টি এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি তুলে সেই মাটি ট্রাক্টর  মাধ্যমে হরিলুট করছে স্থানীয় ভূমিদস্যু ও প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।তারা গাড়িপ্রতি (ট্রাক্টর) ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ টাকায় বিভিন্ন ইটভাটায় ও স্থানীয় প্রভাবশালীর বসতবাড়িতে বিক্রয় করছেন। স্থানীয়রা বলেছেন বাকই গ্রামের লালু মিায়ার নেতৃত্বে ও পলুয়া গ্রামের জাফর এবং তারাপুর গ্রামের  আক্তারের সহযোগিতায় খালের পাড়ের মাটি হরিলুটের মাধ্যমে বিক্রি করে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বসতবাড়ি ও পুকুর ডোবা ভরাট করছে তারা। এবিষয়ে জানতে চাইলে লালু মিয়া  বলেন, আমার একক নেতৃত্বে মাটি নিচ্ছি এ কথা সঠিক নয়! আমার মত আরও কয়েকজন ব্যক্তি  ভেকুর মাধ্যমে খাল পাড়ের মাটি কেটে নিচ্ছে। আমি খালপাড়ের জমির মালিকদের মাটি কাটছি এবং তাদের বাড়িতে নিচ্ছি এতে কোন দোষের কিছু নয়- এ নিয়ে কারও কাছে জবাবদিহি করতে হবে?

খালের মাটি ভেকুর মাধ্যমে কাটা সহযোগিতাকারী তারাপুর গ্রামের আক্তার মিয়া বলেন, আমি মাটি কাটার জন্য কোন সহযোগিতা করেনি বরং তারা খাল খননের মাটি যে যার মতো করে কয়েকটি ট্রাক্টরের মাধ্যমে বাড়িতে নিচ্ছে। এতে করে কৃষি জমি ও সড়ক ভেঙে পেলছে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর। আমি বাঁধা দিলে তারা বলছে বিএনপি করি কিছু না করলে কর্মী চালাবে কে।

লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, খাল খননের মাটি ভেকুর মাধ্যমে নিয়ে যাচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে শনিবার বিকালে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশসহ আমি ঘটনাস্থলে যাই। এসময় খননকারী ও ট্রাক্টরের চালক পালিয়ে যায়। আমরা ৪টি ট্রাক্টর জব্দ করি। পরবর্তীতে খননকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫