তীব্র গ্যাস সংকটে দৈনিক অন্তত ২০ কোটি টাকার লোকসান গুণছে দেশের সিরামিক শিল্প
প্রকাশকালঃ
১৫ জুলাই ২০২৪ ১২:১১ অপরাহ্ণ ৬৯৮ বার পঠিত
তীব্র গ্যাস সংকটে দৈনিক অন্তত ২০ কোটি টাকার লোকসান গুণছে দেশের সিরামিক শিল্প। ব্ন্ধ হয়ে আছে এক-তৃতীয়াংশ কারখানা। খাত সংশ্লিষ্টদের আশংকা, চলমান সংকটের দ্রুত সমাধান করা না গেলে ব্যাংক ঋণের ফাঁদে আটকা পড়বেন অধিকাংশ বিনিয়োগকারী। বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্ভাবনাময় এই খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে নজর দিতে হবে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহে।
জ্বালানির অভাবে নরসিংদীর চায়না-বাংলা সিরামিকসে অলস পড়ে আছে দামি দামি সব যন্ত্রপাতি। গেলো মাস দেড়েক ধরে চলছে এ অবস্থা। সংশ্লিষ্টদের মতে, এই কারখানায়, ১৫ পিএসআই চাপে গ্যাস পাওয়ার কথা থাকলেও, বেশিরভাগ সময়ই তা থাকছে ৫ এর নিচে। ফলে, উৎপাদনও নেমেছে শূন্যের কোটায়। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনীয় জ্বালানির যোগান না থাকায়, নষ্ট হচ্ছে কাঁচামালও।
কারখানাটিতে চার বছর ধরে কাজ করছেন ভারতীয় নাগরিক প্রমোদ চন্দ্র শর্মা। তার অভিজ্ঞতা হলো, বর্তমান সময়ের মতো সঙ্কট হয়নি এর আগে। জানান, কেবল গ্যাসের অভাবেই কারখানাগুলোর উৎপাদন নেমেছে এক তৃতীয়াংশে।
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন-বিসিএমইএ'র তথ্য বলছে, দেশে মোট কারখানা রয়েছে ৭০টি। যাতে বিনিয়োগ ছাড়িয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু, গ্যাস সংকটে অচল হয়ে পড়েছে অন্তত ৩০টি। এছাড়া, বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারে ব্যয়ও বেড়েছে আশঙ্কাজনকহারে। এই খাতের ব্যবসায়ীদের মতে, এসব কারণে দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে অন্তত ২০ কোটি টাকা।
বিসিএমইএ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন যে পরিমাণ লোকসান হচ্ছে, সেটির পরিমাপ করা সম্ভব নয়। যেহেতু কারখানা বন্ধ, তাই আমাদের সবই তো লোকসান। গ্যাস সংকট দূর না হলে, এ শিল্প শেষ হয়ে যাবে। এ বিষয়ে মীর সিরামিক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনার পরিচালক মীর নাসির হোসেন বলেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ কোনোটিই নিরবচ্ছিন পাচ্ছি না। উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। ব্যাংক ঋণের সুদ কীভাবে পরিশোধ করবো।