বাংলাদেশের আইন অঙ্গনের পরিচিত নাম অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন অ্যালুমনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং উত্তরবঙ্গ আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সহধর্মিণী যুথী পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে আইনজীবীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে আসা অ্যাডভোকেট যুথী পূর্বে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রশ্ন: আপনি দীর্ঘদিন ধরে আইনজীবীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছেন। এ সম্পর্কে কিছু বলুন।
উত্তর: একজন আইনজীবীকে আইন পেশা নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বারের এবং সকল আইনজীবীদের সমস্যা সমাধান হলে তারা তাদের অধিকার ফিরে পাবে। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ বারের অনেক সমস্যা রয়েছে। ইতিপূর্বে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা আইনজীবীদের সমস্যা সমাধান না করে নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করেছেন বেশি। দলীয় তোষামোদের কারণে একাধিক বা বহুবার নির্বাচিত হচ্ছেন। পরবর্তীতে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করছেন। বাস্তবতা এই, তারা মূলত বারকে এবং সাধারণ আইনজীবীদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করছেন। সাধারণ আইনজীবীদের সমস্যা-সংকট কোনো কিছুই সমাধান করছেন না। ফলে আইনজীবীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
প্রশ্ন: এই ক্ষেত্রে আপনি কতটুকু সফল হয়েছেন?
উত্তর: আসলে সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রয়োজন যোগ্য নেতৃত্ব। আমি বিপুল ভোটে ট্রেজারার নির্বাচিত হয়েছিলাম। দায়িত্বপূর্ণ জায়গায় থেকে যতটুকু সম্ভব সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু এজন্য প্রয়োজন নির্বাহী দায়িত্ব। সভাপতি ও সম্পাদক ছাড়া বৃহৎ সমস্যা সমাধানে তেমন কোনো ভূমিকা রাখা যায় না। আইনজীবীরা সমাজের দর্পণ। সমাজের অধিকার বঞ্চিত মানুষ ও সাধারণ আইনজীবীদের কল্যাণে কাজ করার জন্য এই মহৎ পেশায় এসেছিলাম। আমি এক বছর ছোট একটি দায়িত্বে ছিলাম। এখান থেকে সফল হওয়া যায় না। সফল হওয়ার জন্যই মূলত সম্পাদক পদে নির্বাচন করছি।