৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জাবির আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় বাধা

প্রকাশকালঃ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ ১৭৫ বার পঠিত
৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জাবির আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় বাধা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আন্দোলনকারীদের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় বাধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এবং এর দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

 

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুনকলা ভবনের লাউঞ্জে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ হুমকি দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, ‘গত ৩ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ধর্ষণেরর মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষনিকভাবেই ধর্ষক মোস্তাফিজকে মীর মোশাররফ হোসেন হলে ঘেরাও করে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী চলমান আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীগণ তার পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে নিয়ে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’ গঠন করে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উৎখাত ও মাদক সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবি জানায়।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘ক্যাম্পাসে মাদক সরবরাহকারী কিছু ব্যক্তিকে আটক করা হলেও মাদক বিপণন ও ব্যবসার সাথে যুক্ত ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে থাকা কোনো ব্যক্তিবর্গকে চিহ্নিত করা ও তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে দেখা যায়নি। যৌন নিপীড়ক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার ও ধর্ষণকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এবং মীর মোশাররফ হোসেন হলের প্রোভোস্টের সম্পৃক্ততা তদন্তের দাবিতেও প্রশাসনের আশ্বাসকে সন্দেহের মুখে ফেলে দেয়। এছাড়াও দেশের বিশেষ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়নের বার্তায় উঠে আসা ক্যাম্পাসে বিদ্যমান মাদক ও অপরাধ চক্রের ভয়াবহ বিস্তারের বর্ণনাও প্রশাসনকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে পারেনি।’

 

২২ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা কোনোভাবে বাধাগ্রস্থ হলে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিন্ডিকেট সভা আয়োজন ও চলমান আন্দোলনের দাবিসমূহ বাস্তবায়নে প্রশাসন যদি গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তবে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ আরো ব্যাপক ও কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং এই উদ্দেশে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।